শরীয়তপুরে ফেলে রাখা সেই অজ্ঞাত যুবকের লাশের পরিচয় পাওয়া গেছে। নিহত ব্যক্তির নাম মনাই বেপারী (২৬)। সে মাদারীপুর শিবচর উপজেলার বাসিন্দা। পেশায় সে একজন অটো চালক ছিল।
শরীয়তপুর সদর উপজেলার কাশিপুর হিন্দুপাড়া নামকস্থানে শরীয়তপুর-মাদারীপুর মহাসড়কের পাশে চোখ, হাত, পা ও মুখ বেঁধে হত্যা করে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা।
লাশ ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে পালং মডেল থানায় অজ্ঞাতনামা একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পালং মডেল থানা ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, মাদারীপুর শিবচর উপজেলার ভদ্রাসন নুরু মাস্টারকান্দি গ্রামের মৃত আয়ুব আলী বেপারীর ছেলে মনাই বেপারী। গত মঙ্গলবার বাড়ি থেকে অটোবাইক নিয়ে বের হয়ে যায়। সে শিবচর থেকে যাত্রী নিয়ে শরীয়তপুর জাজিরা উপজেলার কাজিরহাট নামিয়ে দেন।
এরপর কাজীরহাট থেকে ১ জন যাত্রী রিজার্ভ নিয়ে একই উপজেলার জয়নগর রওনা হন। সেই থেকে তার কোনো খোঁজ নেই। রাতে বাড়ি ফেরেনি। পরিবারের সবাই খোঁজাখুজি করে কোথাও তার সন্ধান পায়নি।
এ দিকে দুষ্কৃতিকারীরা তাকেপিঠমোড়া করে হাত, পা, চোখ বেঁধে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। ঐ দিনেই দুষ্কৃতিকারীরা একটি সাদা মাইক্রোবাসে করে কাশিপুর হিন্দুপাড়া নামকস্থানে মহাসড়কের পাশে ফেলে রেখে যায়।
পাশদিয়ে যাওয়ার সময় এক ভ্যান চালক দুষ্কৃতিকারীদের লাশ ফেলে যেতে দেখে। তারপর তিনি আঙ্গারিয়া বাজারে এসে লোকজনকে বললে স্থানীয়রা পুলিশকে সাথে নিয়ে ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন।
এ ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শীরা ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিলে নিহতের বড় ভাই মোতালেব বেপারী চিনতে পারে। পরে পালং মডেল থানায় এসে লাশ সনাক্ত করে।
নিহতের বড় ভাই মোতালেব বাদী হয়ে পালং থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা দায়ের করেন। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম দৈনিক অধিকারকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন এবং বলেন এই বিষয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।