গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা একজন ধর্মপ্রাণ মুসলমান। তিনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেন। সকালে ঘুম থেকে ওঠে ফজরের নামাজ পড়ে কোরআন তেলওয়াত করেন। তার হাতেই পরিচালিত হচ্ছে বাংলাদেশ। তার সাথে ওলামা মাশায়েখদের রয়েছে গভীর সম্পর্ক। জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাস দমনে ওলামা-মাশায়েখরা তাকে সাহস যুগিয়েছেন। তাই তিনি এদেশে জঙ্গীদের প্রশ্রয় দেননি। তিনি কঠোর হস্তে জঙ্গীদের দমন করতে সক্ষম হয়েছেন।
২৬ নভেম্বর রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় জেলা পুলিশ লাইন চত্বরে শরীয়তপুর জেলা পুলিশ ও কমিউনিটি পুলিশিং ওলামা-মাশায়েখ ফোরামের উদ্যোগে আয়োজিত জঙ্গীবাদ বিরোধী ওলামা-মাশায়েখ সমাবেশে ২০১৭ এর প্রধান অতিথির বক্তব্য দান কালে এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ইসলাম হচ্ছে শান্তির ধর্ম। ইসলাম জঙ্গীবাদে বিশ্বাস করে না। জঙ্গী দমনে ওলামা-মাশায়েখরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছন। ওলামা মাশায়েখরা যদি আমার প্রধানমন্ত্রীর পাশে থাকেন তাহলে এ দেশে কোন দিনও জঙ্গীরা আস্তানা গাড়তে পারবে না। তাদেরকে কঠোর হস্তে দমন করা হবে।
পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল মামুন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জঙ্গীবাদ বিরোধী ওলামা-মাশায়েখ সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শরীয়তপুর ১ আসনের সংসদ সদস্য বি.এম মোজাম্মেল হক, সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট নাভানা আক্তার, ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মাহবুবা আক্তার, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বাবু অনল কুমার দে, শরীয়তপুর পৌরসভার মেয়র মোঃ রফিকুল ইসলাম কোতোয়াল।
এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা ওলামালীগের সভাপতি মাওলানা মোহাম্মদ মনোয়ার, আংগারিয়া ওসমানিয়া কওমিয়া মাদ্রাসার খতিব আলহাজ্ব হাফেজ মাওলানা আবু বক্কও সিদ্দিক এবং ভোজেশ্বর বাজার জামে মসজিদের ইমাম আলহাজ্ব হাফেজ মাওলানা শওকত আলী প্রমুখ।
২৬.১১.২০১৭