মহামারী করোনা ভাইরাসের প্রভাবে হঠাৎ থমকে গেল এই শহর বলা যায় গোটা বিশ্ব । করোনা ভাইরাসের সৌজন্যে চলছে এখন পুরো পৃথিবী। লক ডাউনে দেশ। সবাইকে ঘরে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভয়াল করোনা ভাইরাসের কারণে হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে চাকুরিজীবী, বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ তথা ক্রীড়াঙ্গন এবং সিনেমা জগতের ব্যক্তিত্বরা সহ সকল পেশার মানুষ । লকডাউন হওয়ার ঠিক আগেই অচল হয়ে গিয়েছে গোটা শহর। গৃহবন্দি সকলে। তবে বাসায় থাকা ব্যাপারটা খুব একটা আপত্তি নেই।
হোম কোয়ারেন্টাইন কি?
হোম কোয়ারানটাইনের বাংলা অর্থ স্বেচ্ছায় গৃহবন্দি। হোম কোয়ারানটিন মানে বাইরে ঘুরে বেড়িয়ে ফুর্তি করা নয়।
আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য বিধি (আইএইচআর -২০০৫)-এর আর্টিকেল ৩২ অনুসারে, যে সব দেশে নভেল করোনাভাইরাস বা (কোভিড-১৯)-এর স্থানীয় সংক্রমণ ঘটেছে সে সব দেশ থেকে যে সব যাত্রী এসেছেন এবং আসবেন (দেশি-বিদেশি যে কোনো নাগরিক), যারা দেশে শনাক্ত হওয়া কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংস্পর্শে এসেছেন এবং যার অথবা যাদের কোনো শারীরিক উপসর্গ নেই, তাদের ১৪ দিন কোয়ারানটাইন পালন করা আবশ্যক।
করোনা প্রসঙ্গে হোম কোয়ারেন্টাইন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে মেকআপ আর্টিস্ট আফরোজা হাসান বলেন , “করোনা ভাইরাসের প্রভাবে টানা ৩২ দিন বাসায় থেকে খুব অস্বস্থি বোধ করছি। শরীর খুব দুর্বল হয়ে পরেছে। এখন বাইরে যাইতেও ভয় লাগে। তাই সব সময় সাবধানতা অবলম্বন করছি। করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষা পাওয়ার একমাত্র উপায় হলো বাসায় অবস্থান করা। তাই আমি মনে করি সকলের এই কঠিন সময়ে বাসায় অবস্থান করা জরুরি।
বাড়িতে_থাকুন
সুস্থ_থাকুন
হোম কোয়ারেন্টাইন কেমন কাটাচ্ছেন জিজ্ঞেস করলে মেকআপ আর্টিস্ট আফরোজা হাসান বলেন, “প্রাণঘাতি মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারনে এর সংক্রমণ ঝুঁকি রোধে প্রয়োজন অনিবার্য কারন ছাড়া ঘরের ভিতর থেকে পরিবারের সকলের সাথে হোম কোয়ারেন্টাইন মেনে চলতেছি। এই সময়ে বিশি, বেশি নামাজ আদায় করছি।প্রতিদিনের ন্যায় সকালে উঠে এক কাপ গরম পানিতে লেবু ও ভিনেগার খাই, তার পর সকালের নাস্তা করি, এর পরে ঘন্টা খানিকটা ঘরের মধ্যে হাঁটাহাটি করে কমলার জুস খাই কারন কমলাতে অনেক পরিমাণ ভিটামিন সি থাকে। দুপুরের যোহরের নামাজ আদায় করে খাবার খাই খাবারের মেনুতে শাক সবজির পরিমাণ বেশি রাখি এবং সারাদিন ৫/৬ বার গরম চা খাই। বিকেলে বাদাম খাই মন চাইলে কিছুটা ফল খাই। এর পর রাতের খাবারে বেশির ভাগ মাছ, মাংস, ডিম যেকোনো একটা পছন্দ মতো রাখি কারন এগুলেতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন থাকে তাতে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। আর এর মধ্যে যখনি সময় পাই নিজেকে ক্যামেরার সামনে সাজিয়ে ভিডিও বানাই সবসময়ই নিজেকে আতংকিত না রেখে খুশি রাখার চেষ্টা করি। এছাড়াও কোভিড-১৯ প্রতিরোধে আতংকিত না হওয়া, সবসময় পরিষ্কার পরিছন্ন থাকা, হ্যান্ড স্যানিটাইজার/হ্যান্ড ওয়াশ দিয়ে ভাল ভাবে ধুয়ে হাত পরিষ্কার রাখা, অবস্যই মাস্ক ব্যবহার করা, জনসমাগম এড়িয়ে চলা, অযথা হাত মেলানো পরিহার করা ইত্যাদি সম্পর্কে আমার পরিবার ও আশেপাশের সবাইকে সচেতন করার চেষ্টা করতেছি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যেমনঃ টাইমলাইন, মেসেঞ্জার, এসএমএস অথবা মোবাইলে কল করেও জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতেছি।
সবাই ভালো থাকবেন। নিজে সচেতন থাকবেন, অন্যকেও সচেতন করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন। সবাই মিলে চেষ্টা করলে এই ভয়াবহ মহামারী থেকে আমরা নিশ্চয়ই পরিত্রান পাবো।