
শরীয়তপুর প্রতিনিধি:শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর ডাকবাংলোতে ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়ে কাজ না করে পূনরায় আবার ১ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়াসহ শরীয়তপুর জেলা পরিষদে বিভিন্ন অনিয়ম পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক)। নানা অনিয়মের অভিযোগের ভিত্তিতে আজ রবিবার সকাল থেকে দুদক ২০টি প্রকল্পের অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে অভিযান চালিয়েছেন।
দুদক জানায়, ২০২২-২৩ ও ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বরাদ্দপত্র, কম্বল বিতরণ, বাউন্ডারি ওয়ালের টেন্ডার, বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল ও স্বাধীনতা মঞ্চের টেন্ডার, সখিপুর, ভেদরগঞ্জ উপজেলাসহ বিভিন্ন ডাকবাংলো ও সড়ক নির্মাণ, মসজিদ-মন্দির নির্মাণসহ ২০টি প্রকল্পের অনিয়মের অভিযোগ পায় দুদক। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে আজ অভিযানে আসেন দুদক। অভিযানে এসে সুনির্দিষ্ট কিছু অনিয়ম পেয়েছেন। জেলা পরিষদের বরখাস্তকৃত চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছাবেদুর রহমান খোকা শিকদার, সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শামীম হোসেন, অন্যান্য কর্মকর্তা ও জেলা পরিষদ সদস্যসহ ৭জনের বিরুদ্ধে এই অনিয়মের অভিযোগ পায় দুদক। পরে আজ অভিযানে আসেন।
দুর্নীতি দমন কমিশন মাদারীপুর অঞ্চলের সহকারি পরিচালক আখতারুজ্জামান বলেন, দুদকের প্রধান কার্যালয়ের নির্দশে শরীয়তপুর জেলা পরিষদে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। জেলা পরিষদের ৭ জন সাবেক কর্মকর্তা সহ ২০টি উন্নয়ন প্রকল্পে ও বিভিন্ন বরাদ্দে সুনির্দিষ্ট কিছু অভিযোগ পেয়েছি। সেগুলোর প্রত্যেকটা পর্যালোচনা করা হয়েছে। আমরা সেগুলো এখন পরিক্ষা নিরিক্ষা করবো।
পরিক্ষা নিরিক্ষার শেষে চুরান্ত ভাবে রিপোর্ট কমিশনে পেশ করবো।
কিছু অসঙ্গতি আমরা পেয়েছি। এর মধ্যে সখিপুরে ডাকবাংলো নামে ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ হয়েছে কিন্তু কোন কাজ হয়নি। পূনরায় আবারও সেই ডাকবাংলোর নামে ১ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। এটা কোন প্রক্রিয়া হয়েছে, এটা আমরা দেখবো। প্রাথমিকভাবে এটা আমাদের কাছে অনিয়ম বা দুর্নীতি সম্পৃক্ততা মনে হচ্ছে।