শরীয়তপুর প্রতিনিধি: শরীয়তপুরের ডামুড্যায় এসিল্যান্ডের বিরুদ্ধে দোকানিকে মারধরের অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছেন জেলা প্রশাসক।
বুধবার ৬ নভেম্বর ঘটনার তদন্তে তদন্তকারী হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে।
পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্তের রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসক, বিষয়টি নিশ্চিত করছেন তদন্তকারি কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক( উন্নয়ন ও মানবসম্পদ ব্যাবস্থাপনা) পিংকি সাহা।
জেলা প্রশাসক ও ভুক্তোভগি সুত্রে জানা যায়, ডামুড্যা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবু বকর সিদ্দিক ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার সময় এক দোকানিকে মারিপিট ও লাঞ্চিতর অভিযোগ তুলে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার বরার অভিযোগ দাখিল করেন ভুক্তভোগী দোকানি। এর পেক্ষিতে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যলয় থেকে শরীয়তপুর জেলা প্রশাসককে তদন্তের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। বুধবার ৬ নভেম্বর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক( উন্নয়ন ও মানবসম্পদ ব্যাবস্থাপনা) পিংকি সাহাকে তদন্তের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়।
তদন্তকারী কর্মকর্তা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পিংকি সাহা সমকালকে জানান, আমাকে ঘটনার তদন্তে আজ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আগামী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত শেষ করে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। আগামীকাল থেকেই তদন্তের কাজ শুরু করবো।
এবিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিন বলেন,আমাকে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার থেকে ঘটনার তদন্তে জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। এর জন্য অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। রিপোর্ট হাতে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ:ডামড্যা উপজেলার মডেরহাট বাজার এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে ছোট একটি কাপড়ের দোকান চালিয়ে আসছিলেন চর ধানকাটি এলাকার সোলাইমান ফরাজী। গত বৃহস্পতিবার বাজারে অভিযান পরিচালনা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবু বকর সিদ্দিক। এসময় তিনি সোলাইমান ফরাজীর কাছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্স চাইলে তিনি প্রথমে ফটোকপি ও পরবর্তীতে মূল কপি দেখান। এরপর তার কাছে আয়কর সার্টিফিকেট চাইলে সেটি তিনি দেখাতে পারেননি। পরে তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ১ হাজার ১০০ টাকা জরিমানা করেন। জরিমানার টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ক্ষিপ্ত হয়ে আনসার সদস্যকে দিয়ে তাকে গাড়িতে উঠিয়ে নিজ কার্যালয়ে নিয়ে আসেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবু বকর সিদ্দিক। সেখান আটকে রেখে প্রথমে তাকে কানেধরে উঠবস ও পরবর্তীতে আনসার ও তিনি নিজে লাঠি দিয়ে মারধর করেন বলে অভিযোগ করেন সোলাইমান। পরে খবর পেয়ে ডামুড্যা উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা সাইফুল ইসলাম ও পৌর জামায়াতের আমির আতিকুর রহমান কবির ঘটনাস্থলে গেলে তাদের অনুরোধে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জামায়াতের আমির মাওলানা সাইফুল ইসলাম তার থেকে জরিমানার টাকা দিয়ে ছারিয়ে আনে। এ ঘটনায় সোমবার সকালে জেলা প্রশাসকের কাছে ও একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী কাপড়ের দোকানী সোলাইমান ফরাজী।