শরীয়তপুর প্রতিনিধিঃ-সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন শরীয়তপুর জেলার একজন আলোকিত বাবা ভানু বাছার। ভানু বাছারের জন্ম ১৯৪৫ সালে শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার পঞ্চপল্লী ইউনিয়নের নীলগুন গ্রামে ।পেশায় একজন সাধারণ কৃষক ছিলেন ভানু বাছার। পাঁচ পুত্রের জনক ভানু বাছার শত কষ্টের মাঝেও প্রত্যেকটি পুত্রকে উচ্চ শিক্ষিত করে গড়ে তোলেন। দেশের খ্যাতনামা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সুনামের সাথে কাজ করে যাচ্ছেন তারা।
ভানু বাছারের জ্যেষ্ঠ পুত্র সুশীল চন্দ্র বাছার বাংলাদেশের খ্যাতনামা চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান ল্যাব এইড হাসপাতালে কর্মরত। পাশাপাশি একাধিক সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও মানবাধিকার সংগঠনের সাথে জড়িত। দ্বিতীয় পুত্র চিত্রশিল্পী সুদর্শন বাছার আর্টিস্ট কাম ডিজাইনার হিসেবে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড ঢাকায় কর্মরত আছেন। তৃতীয় পুত্র বিশ্বজিৎ বাছার মার্ক ওয়ান গ্লাস ডিজাইন কোম্পানিতে গ্লাস ডিজাইনার হিসেবে কর্মরত। চতুর্থ পুত্র প্রকৌশলী অজিত বাছার শরীয়তপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ইলেকট্রনিক্স টেকনোলজি বিভাগে জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর হিসেবে কর্মরত। ছোট পুত্র প্রকৌশলী সুজিত বাছার শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জে প্রতিভা সাইন্স প্রিপারেটরি স্কুলের আই সিটি বিভাগে সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন। ভানু বাছারের প্রত্যেকটি পুত্র অসাধারণ মেধাবী এবং বিভিন্ন সামাজিক, ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে জড়িত এবং নেতৃত্বদানকারী। ছোটবেলা থেকেই তারা কষ্টের সাথে পড়াশোনা করেছেন । পড়াশোনার পাশাপাশি বাবার কাছে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছেন তাঁরা। সবকিছু মিলিয়ে তিনি একজন আলোকিত বাবা হিসেবেই সমাজে সুনাম অর্জন করেছিলেন।এমন একজন ব্যক্তির জন্য শরীয়তপুরবাসী গর্বিত।
ভানু বাছার ২০শে ফেব্রুয়ারি বুধবার দুপুর ১২ ঘটিকার সময় তার নিজ বাড়িতে পরলোকগমন করেন। তার মৃত্যুতে নিরাপদ সড়ক চাই শরীয়তপুর জেলা শাখা সহ বিভিন্ন সংগঠন শোক প্রকাশ করেছেন।