৫ আগষ্ট থেকে সারাদেশে শুরু হয় ট্রাফিক সপ্তাহ এরই ধারাবাহিকতায় শরীয়তপুরেও ট্রাফিক সপ্তাহ পালিত হচ্ছে। এ ট্রাফিক সপ্তাহ ১১-ই আগষ্ট শনিবার পর্যন্ত বলবৎ ছিল। পুরোপুরি সচেতনতা বৃদ্ধিতে সারাদেশে এই ট্রাফিক সপ্তাহ আরো ৩দিন সময় বাড়ানো হয়েছে।
আর এ ট্রাফিক সপ্তাহের কারণে শরীয়তপুরে অধিকাংশ যানবাহন মালিক এবং চালকদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারনে বাজারে হেলমেটের চাহিদা বেড়েছে এবং হেলমেটের দামও বেড়ে গেছে বলে জানালেন মোটর সাইকেল আরোহীরা।
বিআরটিএ অফিসেও যানবাহন রেজিস্ট্রেশন এবং ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য প্রতিদিন ভীড় জমাচ্ছে যানবাহনের মালিক এবং চালকরা।
জানা যায়, রাস্তায় চলমান ত্রুটিযুক্ত যানবাহনের উপর ট্রাফিক আইনে বিদ্যমান বিভিন্ন ধারা অনুযায়ী রুট পারমিট, ফিটনেসবিহীন, ড্রাইভিং লাইসেন্সবিহীন, ভূয়া ড্রাইভিং লাইসেন্সধারী চালকের বিরুদ্ধে ১৯৮৩ সালের মোটরযান অধ্যাদেশ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় জেলা পুলিশ বিভাগ শরীয়তপুরের প্রত্যেকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চেক পোষ্ট বসিয়েছে।
ট্রাফিক অতিরিক্ত সার্জেন্ট অসীম কুমারের সাথে আলাপ কালে তিনি বলেন, সরকার ঘোষিত ট্রাফিক সপ্তাহ অত্যন্ত সুন্দর ভাবে পালন করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে বিভিন্ন ধারা অনুযায়ী রুট পারমিট, ফিটনেসবিহীন, ড্রাইভিং লাইসেন্সবিহীন, ভূয়া ড্রাইভিং লাইসেন্সধারী চালকের বিরুদ্ধে ১৯৮৩ সালের মোটরযান অধ্যাদেশ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। এ কাজটি যদি আমরা সুন্দর ভাবে সম্পন্ন করতে পারি তাহলে গাড়ির চালকরা সচেতন হবে। জেলার সড়ক দুর্ঘটনা অনেকটাই কমে যাবে।
এ ব্যাপারে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সদর) তানভীর হায়দার শাওন বলেন, সারা দেশের ন্যায় শরীয়তপুরে ট্রাফিক সপ্তাহ পালিত হচ্ছে। ৫ আগস্ট থেকে এ ট্রাফিক সপ্তাহ শুরু হয়ে ১১ আগষ্ট শনিবার পর্যন্ত চলেছে বিষেশ প্রয়োজনে রাষ্ট্রীয় ভাবে ট্রাফিক সপ্তাহ আরো ৩দিন বাড়ানো হয়েছে চলবে ১৪ আগষ্ট পর্যন্ত।
আর এ ট্রাফিক সপ্তাহে ১৯৮৩ সালের মোটরযান অধ্যাদেশ অনুযায়ী রাস্তায় চলমান ত্রুটিযুক্ত যানবাহনের উপর ট্রাফিক আইনে বিদ্যমান বিভিন্ন ধারায় রুট পারমিট, ফিটনেসবিহীন গাড়ি, ড্রাইভিং লাইসেন্সবিহীন চালক, ভূয়া ড্রাইভিং লাইসেন্সধারী চালকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
আমরা ট্রাফিক সপ্তাহ প্রকৃতভাবে সফল করতে পারবো সকল সচেতন নাগরিকদের সহযোগিতার মাধ্যমে। তবে আইনের প্রতি প্রশাসন, চালক, যানবাহন মালিকগণ ও সাধারণ জনগণ পরিপূর্ণ শ্রদ্ধাশীল না হলে, এটা পুরোপুরি বাস্তবায়ন কঠিন হয়ে যাবে।