শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলায় স্বামীর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে শরীরে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন সেফালী বেগম নামে এক গৃহবধূ। শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ডামুড্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় সন্ধ্যায় সেফালীর স্বামী সেকুল সরদারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ ।
ডামুড্যা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহবুবুর রহমান চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত বৃহস্পতিবার রাতে ডামুড্যা উপজেলার পূর্বডামুড্যা ইউনিয়নের ভয়রা গজারিয়া গ্রামের সেফালী তার স্বামীর বাড়িতে শরীরে আগুন দেন। তিনি ওই গ্রামের সেকুল সরদারের স্ত্রী।
এ ব্যাপারে ডামুড্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. ইমরান আহমেদ জানান, সেফালীর শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে যাওয়ায় তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
স্থানী সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালে উপজেলার পূর্ব ডামুড্যা ইউনিয়নের ভয়রা গজারিয়া গ্রামের নুরু সরদারের ছেলে সেকুল সরদার ও একই উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের গঙ্গসকাঠি গ্রামের আলী আহম্মদের মেয়ে সেফালী বেগমের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। সেকুল সরদার মাদক সেবন করতেন। বিয়ের পর থেকে বাবার বাড়ি থেকে মাদকের টাকা আনার জন্য সেফালীকে মারধর করতেন সেকুল। বৃহস্পতিবার রাতে স্বামী মারধর করলে ঘরের দরজা বন্ধ করে সেফালী বেগম নিজের শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেন। শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ডামুড্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা অবস্থায় সেফালীর মৃত্যু হয়। ঘটনার পর থেকে সেকুল সরদার ও তার পরিবার পলাতক রয়েছেন।
শরীয়তপুরের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার থান্দার খায়রুল হাসান বলেন, আমরা সেফালী বেগমের স্বামী সেকুল সরদারের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছি। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
ডামুড্যায় শরীরে আগুন দিয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যা
December 23, 2017 , 3:54 pm