জার্নাল ডেস্কঃ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে শরীয়তপুর সদর উপজেলার তুলাসার ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জামাল হোসেন ফকির ও তার লোকজনদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী জাহিদুল ইসলাম ফকির অভিযোগ করেছেন। তিনি প্রচারে বাধা,ভোট চাইতে গেলে ভোটারদের বাড়িতে ঢোকতে না দেওয়া,পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা, ব্যানার-ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলা, মাইক ভাঙচুর, হামলাসহ আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছেন ৷
জাহিদুল ইসলাম ফকির তুলাসার ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। তবে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এনে দল থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়। আর আওয়ামী লীগের প্রার্থী জামাল হোসেন ফকির বর্তমান সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপু এমপির পিএ ।
বিদ্রোহী প্রার্থী জাহিদুল ইসলাম ফকিরের অভিযোগ, প্রতীক বরাদ্দ হওয়ার পর থেকেই আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও তার লোকজন প্রচারে বাধা,পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা, কর্মী-সমর্থকদের মারধর সহ ভোটারদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। সর্বশেষ অাজ শনিবার সকালে বিদ্রোহী প্রার্থী এলাকায় ভোট চাইতে গেলে নৌকা প্রার্থী জামাল হোসেন ফকিরের নেত্বিতে ঢাল,সেন দা,চাপাতি ও টেটা নিয়ে বাধা দেয় ৷ এসময় জাহিদুল ইসলাম ফকির তাদের খারাপ মনোভাব দেখতে পেয়ে ঘটনা স্থল থেকে চলে অাসেন ৷
জাহিদুল ইসলাম ফকির বলেন,অামি অামার ইউনিয়ন বাসীর ভালোবাসায় নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছি ৷ নির্বাচনে ভোটাররা যাতে সুষ্ঠভাবে ভোট দিতে পারে এটাই অামার কাম্য ৷ কিন্তু নৌকা প্রার্থী ও তার সমর্থকরা ভোট চাইতে বাধা,পোষ্টার ছিঁরে ফেলা,কর্মিদের মাইরধর করা,ভোটারদের হত্যার হুমকি দিতেছে ৷ সুধু তাই নয় অামার প্রতিবেশি চিতলিয়া ইউনিয়নের বিনাপ্রতিদন্দিতায় চেয়ারম্যান হারুন হাওলাদার ও বিএনপি নেতা মোদাচ্ছের মোল্যা অামার ইউনিয়নের ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ডে কোন ভোট হবে না বলে ভোটারদের হুমকি দিতাছে ৷ এমতাবস্থায় ভোটারদের ভোট দেওয়ার স্বাধীনতা রক্ষার্থে প্রধান নির্বাচন কমিশন,জেলা নির্বাচন অফিসার,জেলা প্রশাসন,পুলিশ সুপার এবং মানোনীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি অাকর্ষণ করছি ৷