জেলা সড়ক বিভাগ শরীয়তপুরের নব নিযুক্ত নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ সাজেদুর রহমান শরীয়তপুরে যোগদানের পর থেকেই তিনি তার কার্যালয়কে সৌন্দর্যপূর্ণ করে গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন। এছাড়া জেলার রাস্তা ঘাটগুলো সৌন্দর্য তৈরীতে চেষ্টা রয়েছে তার।
তারই সুবাদে শরীয়তপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীনে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে মনোহর বাজার মোড় থেকে কোর্ট ব্রীজ পর্যন্ত রাস্তার মাঝ খান দিয়ে রিফ্লেটিং রোডস স্টাডস্ (প্রতিফলন লাইট) ১০০টি লাইট লাগানো হয়।
যদিও প্রত্যেকটি প্রতিফলক পাঁচ বছরের গ্যারান্টি থাকলেও এক মাসেই লাইটগুলোর বেশির ভাগ অকেজো হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সড়ক বিভাগ সূত্রে জানা যায়,২০১৯-২০২০ অর্থবছরে গত মার্চ মাসে দরপত্র আহ্বানের মাধ্যেমে মেসার্স মুহাম্মদ আমিনুল হক প্রাইভেট লিমিটেডকে ১৬ লাখ ১৯ হাজার টাকার ব্যায়ে ১৮৯ টি ডাবল সিঙ্গেল সাইন সিগনাল ( দিক নির্দেশক) ও ১০০ টি রিফ্লেটিং রোডস স্টাডস (প্রতিফলন লাইট) স্থাপনের জন্য বাছাই করা হয়
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান থেকে এই কাজ নিজেরা না করে দায়িত্ব দেওয়া হয় শরীয়তপুরের ঠিকাদার মো. পাবেল মুন্সিকে। পরে চলতি বছরের মে মাসে কাজ শুরু কথা থাকলেও জুলাই মাসে শরীয়তপুর-মাদারীপুর সড়কে বসানো হয় (রিফ্লেটিং রোড স্টাটডস্ ) ১০০টি লাইট। এর মধ্যে মোট প্রতিফলক লাইট স্থাপন করা হয়েছে ৯৫ টি।
এদিকে এক মাসে প্রায় অর্ধেক লাইট নষ্ট হয়ে গেছে। যদিও প্রতিটি লাইটের পাঁচ বছর করে গ্যারান্টি কথা বলা হলেও এখনই নষ্ট হয়ে যাওয়ায় প্রশ্ন উঠেছে এই রুটে চলাচলকারীদের।
স্থানীয়ারা বলছেন, সড়কে দুর্ঘটনা রোধে যে প্রতিফলন লাইট লাগানো হয়েছে তা এক মাসেই ভেঙ্গে গেছে ও অনেকগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। এ লাইটগুলো সচল থাকলে দুর্ঘটনা রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতো। তাই দ্রুত লাইটগুলো পরিবর্তনের দাবী স্থানীয়দের।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মোসার্স মোহাম্মদ আমিনুল হক প্রাইভেট লিমিটেড এর সাথে যোগাযোগ করলে তারা শরীয়তপুরের ঠিকাদার পাবেল মুন্সীর সাথে কথা বলতে বলেন। পাবেল মুন্সি বলেন, কিছু কিছু লাইটে সমস্যা হয়েছে তা পরিবর্তন করার জন্য বলা হয়েছে। প্রতিটি লাইটের ৫বছর করে গ্যারান্টি আছে।
শরীয়তপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাজেদুর রহমান বলেন, পরীক্ষামূলকভাবে সড়কে রিফ্লেটিং রোড স্টাডস্ (প্রতিফলন লাইট) বসানো হয়েছে। প্রতিটি ৫বছর করে গ্যারান্টি আছে, যেগুলো নষ্ট হয়েছে তা পরিবর্তনের জন্য ইতোমধ্যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।