
শরীয়তপুর জার্নাল ডেস্কঃ শরীয়তপুর নড়িয়াতে পদ্মার পানি বিপদসীমার ৬২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদী ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। ভোগান্তীর শিকার কয়েক হাজার মানুষ।
শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয়রা জানায়, পদ্মার পানি বৃদ্ধি পেয়ে নতুন নতুন এলাকা ভাঙন ও প্লাবিত হওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে বন্যা ও ভাঙন কবলিত মানুষ।
নড়িয়া–জাজিরা সড়কে পনি উঠে পড়ায় জানবাহন চলাচলে পড়তে হচ্ছে বিড়ম্বনায়।
পদ্মার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রবল স্রোতে দেখা দিয়েছে। যার ফলে নদী ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করছে। ভাঙন ঠেকাতে পদ্মা, মেঘনা ও কীর্তিনাশা নদীর ভাঙন কবলিত স্থানে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ও জিওটিউব ফেলে ভাঙন রোধের চেষ্টা চালাচ্ছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
কয়েকটি সড়ক গুরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পদ্মায় পানি বাড়তে থাকায় নদী তীরবর্তী নড়িয়া উপজেলার মোক্তারেরচর,নশাসন,জপসা ও রাজনগর ইউনিয়নের এবং নড়িয়া পৌরসভার বেশ কয়েকটি গ্রামে পানি ঢুকছে। এতে করে তলিয়ে গেছে অনেক সড়ক ও মানুষের বাড়ি ঘর অব্যাহত রয়েছে সড়ক ভাঙন। সড়ক ভাঙনের কারনের স্থানীয়রা চলাচল করতে পারছে না।অনেকে সড়ক ভাঙন স্থানে বাসের সাঁকো ও নৌকা দিয়ে চলাচল করছে।
এলাকাবাসীর দাবী পানি কমলে ভাঙন কবলিত সড়ক গুলো অতি জরুরি সংস্কার না করলে তাঁদের ছেলে মেয়ে স্কুল কলেজে যাতায়াতে করতে পারবে না। তারা নিজেরা ও হাট বাজারে যেতে পারবে না। তাই সড়ক গুলো সংস্কার করার জোর দাবী জানান।
নড়িয়া উপজেলার এলজিডির প্রকৌশলী শাহাবুদ্দিন খান বলেন, এই বছর বর্ষার পানিতে উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের গ্রামীণ শাখ সড়ক গুলো পানিতে তলিয়ে গিয়ে স্রোতের চাপে ভেঙে গেছে।তবে এখনো নির্দিষ্ট কোন সংস্থা জানা নাই যে কতো গুলো সড়ক ভাঙন ধরেছে।পানি কমলে বুজা যাবে কতগুলো সড়ক ভাঙছে। বর্ষার পরে আমরা সড়ক গুলো সংস্কার করবো।