শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় মনি মালা (২৮) নামে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামী জসিম বেপারীর বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন।
শুকবার (১জুন) সকালে উপজেলার বাশতলা নিজ বসত ঘর থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করেছে নড়িয়া থানা পুলিশ। নিহত মনি মালা নড়িয়া পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের সোনার বাজার খলিফা কান্দি গ্রামের মো. ইয়ার বক্স সরদারের মেয়ে।
নিহত মনি মালার ভাই জাহাঙ্গীর সরদার জানান,জসিম প্রেমের সম্পর্ক করে ২০০৮ সালে আমার বোন মনি মালাকে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মনি মালাকে মারধর করতো। একাধিক বার সমাজের মুরব্বিরা মিমাংশা করে দিয়েছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়,গত ২০০৮ সালে নড়িয়া উপজেলার সাহেবের চর গ্রামের আবেদ আলী বেপারীর ছেলে জসিম বেপারীর সাথে একই উপজেলার সোনার বাজার খলিফা কান্দি গ্রামের ইয়ার বক্স সরদারের মেয়ে মনি মালার প্রেম করে বিয়ে হয়। বিবাহিত জীবনে তাদের ঘরে শাহাদাৎ হোসেন (৮) ও মহিউদ্দিন (৬) নামে দুটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
বিয়ের পর থেকেই যৌতুকসহ নানা পারিবারিক বিষয় নিয়ে মনি মালার উপর শারীরিক ও মনসিক নির্যাতন করতো জসিম বেপারী। (৩৪) পদ্মার ভাঙ্গনে জসিম বেপারীর বাড়ি নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেলে এক বছর যাবৎ উপজেলার বাশতলা এলাকায় জমি ভারা নিয়ে বসবাস করে আসছিল।
বৃহস্পতিবার রাতে আবার মনি মালা ও তার স্বামী জসিম বেপারীর সঙ্গে পারিবারিক বিষয় নিয়ে ঝগরা হয়। পরে শিশুরা ঘুমিয়ে পরলে হাত পা বেঁধে মনি মালাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পালিয়ে যায় জসিম।
আশপাশের লোকজন সেহরি খেতে উঠে তাদের ডাকাডাকি করে সাড়া না পেয়ে ঘরের ভেতর মনিমালার রক্তাক্ত নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে তারা ঘটনাটি পুলিশকে জানান।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় নড়িয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘনানাস্থল থেকে হাত পা বাধা অবস্থায় লাশ উদ্ধার করেছে। লাশের সুরতহাল শেষে ময়না তদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
স্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে। ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়েরর প্রস্তুতি চলছে।