রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জের ধরে নড়িয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ.কে.এম ইসমাইল হকের উপর হামলা করেছে সন্ত্রাসীরা।
৪ মার্চ রবিবার দুপুর ১২টায় নড়িয়ার প্রেমতলায় অবস্থিত মাজেদা শওকত আলী হাসপাতালের সামনে এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় চেয়ারম্যান এ.কে.এম ইসমাইল হকসহ ৩ জন আহত হয়। আহতদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। যে কোন সময় বড় ধরনের সহিংস ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে বলে ধারণা করছে স্থানীয়রা। সহিংস ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এহেসান শাহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, রবিবার সকাল সাড়ে ১১টার সময় নড়িয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ভোজেশ্বর বাজার থেকে নড়িয়া উপজেলা পরিষদে যাওয়ার পথে নড়িয়ার প্রেমতলায় অবস্থিত মাজেদা শওকত হাসপাতালের সামনে আসলে কতিপয় সন্ত্রাসী তার গাড়ির উপর হামলা চালায়। তার গাড়িতে ৬জন লোক ছিল। এদের মধ্যে চেয়ারম্যান এ.কে.এম ইসমাইল হক, গাড়ির ড্রাইভার জাকির হোসেন এবং জেলা পরিষদ সদস্য আলম বয়াতী গুরুতর আহত হয়।
চেয়ারম্যানের গাড়িতে থাকা আবু আলেম মাদবর বলেন, আমরা উপজেলা চেয়ারম্যানের এ.কে.এম ইসমাইল হকের সাথে ভোজেশ্বর বাজার থেকে নড়িয়া উপজেলা পরিষদে আসছিলাম। পথিমধ্যে কর্ণেল (অবঃ) শওকত আলীর বাড়ি সংলগ্ন মাজেদা শওকত আলী হাসপাতালের সামনে আসলে কতিপয় সন্ত্রাসীরা ইট পাটকেল ও দেশীয় অস্র দিয়ে আমাদের গাড়ির উপরে হামলা চালায়। এতে চেয়ারম্যান এ.কে.এম ইসমাইল হক, গাড়ির ড্রাইভার জাকির হোসেন এবং জেলা পরিষদ সদস্য আলম বয়াতী গুরুতর আহত হয়। এরপর চেয়ারম্যানকে উপজেলা পরিষদে নিয়ে আসলে সেখানেও তার উপর হামলা চালানোর চেষ্টা করে। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাকে উদ্ধার করে। সে সময় সন্ত্রাসীরা চেয়ারম্যানের অফিস ভাংচুর করে।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এহেসান শাহ বলেন, রবিবার সকাল সাড়ে ১১টার সময় নড়িয়া উপজেলা চেয়ারম্যান এ.কে.এম ইসমাইল হক ভোজেশ্বর বাজার থেকে নড়িয়া উপজেলা পরিষদে যাওয়ার পথে নড়িয়ার প্রেমতলায় অবস্থিত মাজেদা শওকত হাসপাতালের সামনে আসলে কতিপয় সন্ত্রাসী তার গাড়ির উপর হামলা চালায়।
নড়িয়া উপজেলা চেয়ারম্যানের উপর হামলা ও গাড়ির ভাংচুর।
March 4, 2018 , 10:27 am