পদ্মা নদীর ভয়াবহ ভাঙনে শরীয়তপুরে শতাধিক বসতভিটা ও ফসলি জমি বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের কবলে রয়েছে নড়িয়া ও জাজিরা উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের সরকারি বেসরকারি স্থাপনাসহ বিস্তীর্ণ এলাকা। ভাঙন রোধে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। অবশ্য, অস্থায়ী ভিত্তিতে ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
দিন দিনই যেন আগ্রাসী হয়ে উঠেছে পদ্মা নদী। তীব্র স্রোতে এভাবেই নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে বাড়ির পর বাড়ি। বসতভিটা, গাছপালা ও ফসলি জমি ভেঙে জায়গা দখল করে নিচ্ছে পদ্মা। ভয়াবহ এ ভাঙনে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার বাসিন্দারা।
এলাকাবাসী জানান, বাড়ি-ঘর সম্পদ নদীতে চলে গেছে। এতে আমাদের দুই কোটির টাকার সম্পত্তি চলে গেছে। আমরা যে অন্য কোথাও ঘর তুলব, সেই জায়গাও আমাদের নেই।
রোববার সকাল থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় নড়িয়া ও জাজিরা উপজেলার ১৬টি গ্রামের শতাধিক বসতভিটা ও ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের কবলে রয়েছে দু’টি উপজেলার সরকারি বেসরকারি স্থাপনা। ভূমিহীনদের পুনর্বাসনের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
শরীয়তপুর নড়িয়া উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের সদস্য মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, নড়িয়া উপজেলার সাধারণ মানুষের বাড়ি-ঘর নদীতে চলে গেছে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ, এই অসহায় লোকদের জন্য আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেন।
এদিকে ভাঙন নিয়ে শরীয়তপুর নড়িয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা ইয়াসমিন বলেন, পদ্মার যে ভাঙন এটাকে রোধ করার জন্য আপদকালীন কার্যক্রম হিসেবে সেটা মোকাবেলার জন্য বালির বস্তা ফেলা হচ্ছে।