![](https://shariatpurjournal.com/wp-content/uploads/2022/06/received_439623307993193-1.jpeg)
শরীয়তপুর জেলার পৌরসভার ০৮ নং ওয়ার্ডের স্বর্নঘোষ গ্রামের রেমিট্যান্স যোদ্ধা মোঃ শাহাদাত হোসেন তালুকদার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ঘন্টা ব্যাপি মানববন্ধন করেছেন গ্রামবাসী।
সকালে স্বর্নঘোষ প্রাই মাঠে ঘন্টা ব্যাপি মানববন্ধন ও প্রতিবাসভা অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধ ও প্রতিবাদ সভায় শত শত গ্রাম বাসী মুখে রেমিট্যান্স যোদ্ধা শাহাদাত হোসেন বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও উদ্দেশ্য প্রনিতোভাবে দায়েরের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যার চাই প্রত্যাহার চাই এই স্লোগানে একটি মিছিল বের করেন গ্রাম বাসী।
এই ঘটনায় প্রবাসীর বাবা মোঃ বাদশা তালুকদার ন্যায় বিচার পাওয়ার জন্য পুলিশ সুপার বরাবর লেখিত অভিযোগ করেন এবং নির্বাহী মেজিস্টি কোর্টে মামলা দায়ের করেন ওই চক্রটির বিরুদ্ধে।
এসময় বক্তারা বলেন, একযুগের বেশি শাহাদত তালুকদার ডুবাইতে শ্রমিকের কাজ করছেন। দীর্ঘ বৎসর হয়ে গেলো কখনো শুনিনি ও দেখিও-নি শাহাদাত কোনো অপরাধে জরিয়েছেন।
তাহলে দুই দেশের প্রশাসন তাকে আটক করতো। দেশ বিদেশ টিভি ও পত্র-পত্রিকায় চলে আসতো। কিন্তু তার আপন খালাতো ভাই হাচান মোহন ও গ্রামের কিছু অর্থ লোভী লোক পরিকল্পিত ভাবে ১ টি বেসরকারি টেলিভিশন উদ্দেশ্য মূলক
সংবাদ প্রকাশ করেন-তার পর থেকেই দেশ বিদেশে শাহাদাত সামাজিক ভাবে হ্যায় পতিপন্ন হয় এবং এলাকায় থাকা কিছু ধান্দাবাজরা তার পরিবার থেকে ভয় ভিতি দেখিয়ে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিতে বিভিন্ন ভাবে চাপ প্রোয়গ করছেন। এমন একটি অডিও রেকর্ড রয়েছে সেই রেকর্ডে ডিসি অফিস ও পুলিশ সাংবাদিকে মেনেজ করতে হবে তানা হলে বিপদ আরো বেশি হবে বলে ভয় দেখান। এলাকার চিহ্নিত জুয়াখোর ও মাদক ব্যবসায়ী কিছু লোক। আমরা তাই গ্রাম বাসী মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেছি। এসময় অবিলম্বে রেমিট্যান্স যোদ্ধা শাহাদাত হোসেন তালুকদারের নামে মিথ্যা অপপ্রচার ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ হয়রানী বন্ধের দাবি জানাচ্ছি।
এদিকে শাহাদাত তালুকদার এর পিতা বাদশা তালুকদার এই প্রতিবেদকে জানান, আমার ছেলে ঢাকার উত্তরায় মিম কম্পিউটার নামে কম্পিউটার ও কম্পিউটারের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ বিক্রিয় ও সার্ভিসং সেন্টার রয়েছে। দোকানে সকল হিসাব নিকাশ রাখার জন্য আমার শালিকার ছেলে মোঃ হাচান মহন (২৫),সরল বিশ্বাসে ম্যানেজার হিসেবে রাখি। প্রতিদিন ৫/৬ লক্ষ টাকা বেচাকিনা হয়ে থাকে। গত ০৭ ফেব্রুয়ারী হাচান মোহন আমার ছেলের দোকান থেকে নগদ দুই লক্ষ টাকা লুটে পালিয়ে যায়। এই ঘটনা তার পরিবার সহ এলাকার লোকজন কে অবহিত করলে, এলাকার ইসাহাক তালুকদার বাড়ীতে দরবার বসানো হয়। সেখানে অভিযুক্ত হাসান মোহন টাকার কথা স্বিকার করলেও টাকা না দেওয়ার কথা জানায়, এলাকার কিছু দুষ্ট লোকের ভরসায় উল্টো লতিফ ছায়াল ও কাশেম তালুকদার আমার কাছ থেকে ( বিশ লক্ষ) টাকা চাদা দাবী করেন এবং এনিয়ে কোনোরকম বাড়াবাড়ি করলে আমাকে ও আমার পরিবার – কে মেরে ফেলার হুমকি দেয় এবং তার কয়েক দিন পরে কথিত সাংবাদিক এনে তাদের মনগড়া মিথ্যা বানোয়াট সংবাদ প্রচার করেন,এবং ওই সংবাদে আমার ছেলের সাথে ভিডিও এবং ছবি এডিট করে আমার ছেলের কন্ঠ বানিয়ে মনগড়া নিউজ তৈরি করে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। এতে আমার ছেলে ও আমার পরিবারের চরম মান হানির শিকার হই- তাই আমি ন্যায় বিচার পাওয়া জন্য জেলার পুলিশ সুপার নিকট লেখিত অভিযোগ করি। সেই সাথে পুলিশ প্রশাসনের নিকট সুষ্ঠু তদন্ত মাধ্যমে প্রকিত দোষিদের চিহ্নিত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া দাবি জানাচ্ছি। আর আমার ছেলের বিরুদ্ধে এখনো অপপ্রচার চালিয়ে চক্রটি আমার পরিবারকে ব্লাকমেইল করে আমার নিকট থেকে (দশ লক্ষ) টাকা দাবি করছে। তাই পুলিশ প্রশাসনের নিকট আমাদের জীবনের নিরাপত্তার দাবি জানাচ্ছি।