শরীয়তপুরের নড়িয়ায় মাদকাসক্ত ছেলে তার বাবা আব্দুর রহিম বেপারীকে (৫০) দাঁ দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছেন। এ সময় স্বামীকে বাঁচাতে এগিয়ে এসে ছেলেকে বাঁধা দেওয়ায় তার মা পারুল বেগম’কেও কুপিয়েছে সে। এ ঘটনায় পুলিশ ঘাতক ছেলে নাহিম বেপারীকে (২০) আটক করেছেন।
রবিবার বিকাল ৫টার দিকে নড়িয়া উপজেলার ভোজেস্বর ইউনিয়নের আনাখন্ড গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটে। নিহতের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ ময়না তদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। গুরুত্বর আহত অবস্থায় আহত ওই মাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নড়িয়া থানা পুলিশ, নিহতের পরিবার ও স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার আনাখন্ড গ্রামের আব্দুর রহিম বেপারীর (৫০) ও পিয়ারা বেমগ দম্পতির তিন ছেলে ও এক মেয়ে। চার সন্তানের মধ্যে অভিযুক্ত নাহিম বেপারী (২০) তাদের ২য় সন্তান। প্রায় ৫বছর আগের থেকে নাহিম মাদকাশক্ত হয়ে পরে। দীর্ঘদিন যাবৎ মাদকাশক্ত হওয়ার ফলে মানশিক ভারসাম্ম হারিয়ে ফেলেছে। গেল এক বছর যাবৎ নাহিম বেপারী মানসিক রোগে ভূগছিল এবং পাশাপাশি চিকিৎসাও নিচ্ছেন।
এদিকে মাদকাশক্ত হয়ে বিভিন্ন সময়ে পরিবারের সদস্যদের সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঝগড়া করতো নাহিম। রবিবার বিকাল সারে চারটার দিকে বাবা আব্দুর রহিম বেপারী দিন মজুরের কাজ করে বাড়ি ফিরলে নাহিমের সাথে বাক বিতন্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে নাহিম ধারালো দাঁ দিয়ে বাবা রহিম বেপারীর মাথায়, গলায় পেঠেসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে কুপিয়ে জখম করে। তার ডাক চিৎকারে মা পিয়ারা বেগম এগিয়ে এলে তাকেও কুপিয়ে আহত করে নাহিম। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে নাহিম কিছুটা শান্ত হয়। কিন্তু অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে বাবা রহিম বেপারী ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় গুরুত্বর আহত অবস্থায় মা পিয়ারা বেগমকে উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘতক ছেলে নাহিমকে আটক করেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জরুল হক আকন্দ।