শরীয়তপুরবাসীর উকিলমাতা বেগম রাহিলা খাতুন রত্নগর্ভামা হিসাবে মাদার তেরেসা স্মৃতি পদকে ভূষিত হয়েছেন। রবিবার ৩০/০৯/২০১৮ইং, বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে বাংলাদেশ বেধা বিকাশ সোসাইটির আয়োজনে গুনিজন সম্মাননা অনুষ্ঠানে তিনি এ পদকে ভূষিত হন। এ সময় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী এড. সামসুল হক টুকু এম.পি। প্রধান আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের উপদেষ্ঠামন্ডলীর সদস্য মোজাফ্ফর হোসেন পল্টু এবং বাংলাদেশ মেধাবিকাশ সোসাইটির সভাপতি লালন আবুল কালাম আজাদ। উক্ত পদকটি বেগম রাহিলা খাতুনের পক্ষে তাহার ছোট সন্তান এড. মুরাদ হোসেন মুন্সী গ্রহণ করেন। এ পদকে ভূষিত হওয়ায় বেগম রাহিলা খাতুন সকলের কাছে কৃতজ্ঞাতা প্রকাশ করেন।
বেগম রাহিলা খাতুন ১৯৫০ সালে শরীয়তপুরে প্রত্যন্ত গ্রামে আবুড়া কৃষক পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়া লেখা করার সুযোগ হয় নাই। ১৯৬৩ সালে আবুল হাসেম মুন্সীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। আবুল হাসেম মুন্সী পেশায় একজন আইনজীবী সহকারী ছিলেন। বেগম রাহিলা খাতুন মাত্র ৩০ বছর বয়সে ৬টি সন্তান সহ বিধবা হন। তখন ছয়টি সন্তানই স্কুল পড়ৃয়া ছাত্র। বেগম রাহিলা খাতুন শুধু আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস এবং সততাকে পুঁজি করে শুরু করেন সংগ্রাম। প্রথম সন্তান এড.আলমগীর মুন্সী লেখাপড়ার পাশাপাশি পিতার ডাইরী নিয়ে আইনজীবী সহকারী পেশায় নিয়োজিত হন এবং সংসারের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। রত্নাগর্ভা বেগম রাহিলা খাতুন মোট ছয়টি শন্তানের শুধু মা নয়, উক্ত ছয়টি সন্তান আজ সমাজে নিজ নিজ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত। প্রথম সন্তান এডভোকেট আলমগীর মুন্সী আইন পেশায় আছেন (বর্তমানে জি.পি)শরীয়তপুর এবং সাধারণ সম্পাদক শরীয়তপুর জেলা রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি, সাধারণ সম্পাদক শরীয়তপুর জেলা কমিউনিটিং পুলিশ, সদস্য শরীয়তপুর জেলা আওয়ামীলীগসহ বিভিন্ন সামাজিক সংঘঠনের দায়িত্ব পালন করছেন। ২য় সন্তান এডভোকেট হুমায়ুন কবীর মুন্সী আইন পেশায় আছেন (বর্তমানে এ.জি.পি)চিকন্দী, সদস্য এপেক্স ক্লাব শরীয়তপুর, আওয়ামী আইনজীবী পরিষদসহ বিভিন্ন সামাজিক সংঘঠনের দায়িত্ব পালন করছেন। ৩য় সন্তান মেহেদী হাসান বাংলাদেশ বেতারে কৃষি বিভাগে চাকুরীরত আছেন। ৪র্থ সন্তান হুসেন আরা লাভলী শিক্ষানবিশ আইনজীবী (স্বামীঃ এড.রুবায়েত আনোয়ার মনির)। ৫ম সন্তান ফরিদ আহমেদ ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজে হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা হিসাবে চাকুরীরত আছেন। ৬ষ্ঠ সন্তান এডভোকেট মুরাদ হোসেন মুন্সী আইন পেশায় এবং নোটারী পাবলিক হিসেবে নিয়েজিত আছেন, এছাড়া নিরাপদ সড়ক চাই শরীয়তপুর শাখার সভাপতি, শরীয়তপুর জার্নাল অনলাইন পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশকের দায়িত্ব পালন করছেন, এছাড়াও শরীয়তপুরের বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কমকান্ডে সম্পৃত্ত আছেন । বেগম রাহিলা খাতুন একজন স্বশিক্ষিত মানুষ হয়েও কারো কোন আর্থিক সাহায্য ছাড়া ধৈয্য, সততা, সংগ্রাম ও প্রচেষ্টায় তার ৬টি সন্তানকে গ্রাজুয়েট করে স্ব-স্ব ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত করায় গর্বিত মা বলে সস্তুষ্টি প্রকাশ করেন।তার ছয়টি সন্তানকেই আইন পাশ করিয়েছেন। এজন্যই সকলেই তাকে উকিল মাতা হিসাবে ডাকেন। তিনি পবিত্র হজ¦ পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি বিভিন্ন সেবামূলক কাজে নিয়োজিত আছেন। তাই তিনি একজন রতœগর্ভা মা।শরীয়তপুর বাসীর উকিল মাতা।