রেজি: নং - আবেদিত ২০১৬খ্রিঃ, প্রতিষ্ঠাকাল: ১মার্চ ২০১৪                       সোমবার,  ২রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,  ১৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,  দুপুর ১:৩২

মাঝিরহাটে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আ:লীগ নেতাকে কুপিয়ে আহত।

June 4, 2017 , 10:33 am
IMG_20170604_162812শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার নশাসন ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের ক্রীড়া সম্পাদক মাঝি কান্দি গ্রামের লিটন হাওলাদার কে  ধারালো অস্ত্র ও টেটা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে প্রতিপক্ষের লোকেরা। তার অবস্থা আশংকা জনক। গুরুতর আহত লিটন হাওলাদারকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করেছে। পুলিশ বলছে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের লোকেরা লিটন হাওলাদার কে কুপিয়ে জখম করেছে। 
 
নড়িয়া থানা, আহত লিটন হাওলাদারের চাচাত ভাই মোহাম্ম আলী হাওলাদার  ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, নড়িয়া উপজেলার নশাসন ইউনিয়নে দীর্ঘদিন যাবত আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামীলীগের দু’টি গ্রুপে বিভক্ত হয় । একটি গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছেন জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নশাসন ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন তালুকদার। অপর গ্রুপে নেতৃত্বে আছেন জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক কোষাধ্যক্ষ নড়িয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম ইসমাইল হক। এ এলাকায় এ দু’টি গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে একাধিকবার মারা মারি, বাড়ি ঘর ভাংচুর সহ শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছে। গত রোববার সকাল অনুমান সাড়ে ১১টায় নশাসন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও একেএম ইসমাইল হক এর সমর্থক  লিটন হাওলাদার নশাসন ইউনিয়নের মাঝি কান্দি সাত্তার মাঝির বাড়ির নিকট ইরি ব্লকে  ঘুরতে যায়। 
 
এ সময় দেলোয়ার হোসেন তালুকদারের সমর্থক নশাসন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফরহাদ হোসেন মাঝির নেতৃত্বে মাসুম ছৈয়াল ,ইমরান সরদার, জুলহাস সরদার সহ ১০/১২জন সন্ত্রাসী অতর্কিত ভাবে তাকে বের দিয়ে  ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারি ভাবে কুপিয়ে সারা শরীরে গুরুতর  রক্তাক্ত জখম করেছে। এ সময় হামলাকারীরা লিটন হাওলাদারের পিঠে টেটা দিয়ে কোপ দিলে তার পিঠে টেটা বিদ্ধ হয়ে থাকে। স্থানীয় লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। সদর হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোস্তফা খোকন রোগীর অবস্থার বেগতিক দেখে ড্রিল মেশিন দিয়ে টেটার একাংশ কেটে দিয়ে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। তার অবস্থা আশংকা জনক। এ ঘটনার পর এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। নড়িয়া থানার পুলিশ খবর পেয়ে এলাকা পরিদর্শন করেছে। এলাকায়  পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। 
 
এ ব্যাপারে আহত লিটন হাওলাদারের  ছোট ভাই নুরুজ্জামান হাওলাদার বলেন, পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে আমার ভাই লিটন হাওলাতদার কে ফরহাদ মাঝির নেতৃত্বে ধারালো অস্ত্র ও টেটা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে। তার অবস্থা আশংকাজনক । আমরা এর বিচার চাই।
 
অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন তালুকদার বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে। আমি এটা পছন্দ করিনা। যারা করে তারা খারপ লোক।
 
নড়িয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম ইসমাইল হক  বলেন, দেলোয়ার তালুকদারের লোকেরা দীর্ঘদিন যাবত এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাচ্ছে। লিটন ছাড়া ও অনেক কে তারা মারপিট করেছে। পুলিশ এ ব্যাপারে কোন ভুমিকা নেয়না। বরং দেলোয়ার তালুকদার কে সহায়তা করছে।
 
নড়িয়া থানার ওসি মোঃ ইকরাম আলী মিয়া বলেন, আধিপত্য বিস্তার কে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের লোকেরা লিটন হাওলাদার কে কুপিয়ে আহত করেছে। চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় এ খনো কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। 
Total View: 2046