রেজি: নং - আবেদিত ২০১৬খ্রিঃ, প্রতিষ্ঠাকাল: ১মার্চ ২০১৪                       সোমবার,  ২০শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,  ৬ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,  রাত ২:১৫

মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে তরিকাপন্থি ফেডারেশনের মানবন্ধন।

April 19, 2018 , 12:02 pm

শরীয়তপুরে সদর উপজেলার তুলাসার ইউনিয়নের রাজগঞ্জ উত্তর গোয়ালদী গ্রামের আফজাল হোসেন আকন ওরফে (আফজাল ভান্ডারী) জেলা পপ্রশাসনের অনুমতি নিয়ে উরছ মাহফিল আয়োজন করতে গেলে আফজাল ভান্ডারী সহ দুই মাওলানাকে পালং মডেল থানার অফিস ইনচার্জ (ওসি)র বিরুদ্ধে অনৈতিকভাবে গ্রেফতার ও অমানুষিক নির্যাতনের অভিযোগ করে এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার সহ নিখোঁজদের ফিরিয়ে দিতে এবং গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে আজ বুধবার শরীয়তপুর আন্তঃজেলা বাস স্টান্ডে মানববন্ধনের আয়োজন করে শরীয়তপুর জেলার সকল তরিকাপন্থি ফেডারেশন।
মানববন্ধন শেষে শরীয়তপুর জেলা পুলিশ সুপার মোমেন এর সাথে দেখা করে স্মারকলিপি প্রদান করেন। এসময় পুলিশ সুপার স্মারকলিপি প্রদানকারীদের তদন্ত করে সঠিক বিচার করবেন বলে আশ্বস্ত করেন।

মানববন্ধন সুত্রে জানাযায়, গত ১২ এপ্রিল আফজাল হোসেন ভান্ডারী তার নিজ বাড়িতে জেলা প্রশাসনের অনুমতিক্রমে চট্রগ্রামের মাইজ শরীফের উরছ মাহফিল করার জন্য প্রস্তুতি সম্পন্ন করে। এর পর অনুষ্ঠান শুরুর পূর্ব মূহুর্তে পালং থানার অফিস ইনচার্জ ( ওসি) মনিরুজ্জামান সহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে আফজাল ভান্ডারীর বাড়িতে মাইজ ভান্ডার শরীফে গিয়ে অনুষ্ঠানস্থল থেকে আফজাল হোসেন আকন ভান্ডারীসহ কুমিল্লা থেকে দ্বীন ইসলামের বয়ান করতে আসা দুইজন মাওলানাকে বিনা কারণে কতিপয় কিছু লোকের প্রোরোচণায় তাদের গ্রেফতার করে।
তার পরদিন ১৩ এপ্রিল পালং মডেল থানা পুলিশ আফজাল হোসেন আকন ভান্ডারীকে আদালতে প্রেরণ করে। বাকি দুইজন মাওলানাকে আজ ৬ দিন হয়ে গেলেও তাদের কোনো খবর নেই।

এসময় মানববন্ধনে বক্তব্যে মোঃ মোক্তার হোসেন খলিফা কার্তিক পুরী বলেন, পালং থানার ওসি মনিরুজ্জান আমাদের মাইজ ভান্ডারী তরিকতের অনুষ্ঠান বন্ধ করে আমাদের তরিকাপন্থি ভাই আফজাল হোসেন ভান্ডারীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে, যে দুইজন মাওলানার খোঁজ নেই, অতি দ্রুত তাদেরকে আমাদের কাছে এবং তার পরিবারের কাছে তুলে দেওয়ার জন্য জেলার আইন শৃংখলা বাহিনীর কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি অন্যথায় আমরা জেলার সকল তরিকাপন্থি ফেডারেশনের আহ্বায়ক কমিটির পক্ষ থেকে মামলা করবো এবং আন্দোলন আরো জোড়ালো করবো। এছাড়া মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন জেলার সজল তরিকাপন্থি ফেডারেশনের আহ্বাহয়ক বশীর আহমেদ আল মাইজ ভান্ডারী, যুগ্ম-আহ্বায়ক বাদল মুন্সী বিশ্ব জাকের মন্জিল সহ শত শত তরিকাপন্থি অনুসারীরী।

পালং মডেল থানার অফিস ইনচার্জের ( ওসির) বিরুদ্ধে অনৈতিক ভাবে অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধনের বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, আমি কি তাদের দুজনকে খেয়ে ফেলেছি, তারা যদি তাদের লোক না পায় তাহলে তারা মামলা করবে, মানববন্ধন করলে পাবে নাকি? তারা অনুমতির সত্য ভঙ্গ করলে আমরা অনেক কিছু করতে পারি।

১৮-০৪-১৮

Total View: 2287