শরীয়তপুর জার্নাল প্রতিবেদনঃ গুনী , প্রবাদ কন্যা কবরী আপাকে কেউ ভুলিনি। অসংখ্য সাংস্কৃতিক কর্মযজ্ঞে তিনি ছিলেন নেত্রী হিসাবে তিনিই নেতৃত্ব দিয়েছেন তার নেতৃত্বেইসাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হতো । মুক্তিযুদ্ধের শরনার্থী জীবনে
কলকাতায় ৯ নং সার্কাস এভিনিউ এর মোড়ে প্রথম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আমি রফিকুল আলম গান গেয়েছিলাম, কবরী আপা ছিলেন সেই কাজের প্রধান উদ্যগী। আকাশবানি কলিকাতা থেকে সারা বিশ্ববাসী কাছে বাঙালির উপর পাকিস্তানীরা যে ভাবে নির্যাতন চালিয়েছিল যেভাবে বাঙালিকে গণহত্যা করেছিল তুলে ধরেছিলে কবরী আপা বাঙালি জাতির মহানায়ক জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে মুক্ত বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন ভারতের বিভিন্ন রাষ্ট্রদূতের অফিস বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছিলেন কববী আপা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে অংশ। তিনি ভারতে বিভিন্ন স্থানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অর্থ জোগাড় করে মুক্তিযোদ্ধাদের ফান্ডে জমা দিতে তার নেতৃত্বে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হতো ।দেশ স্বাধীন হবার পর অনেকেই নিজেদের জাহির করেছেন এই করেছি ওই করেছি কবরী আপা জাহির করেনি কবরী আপা বলতেন আমি যা করেছি নিজের দায়িত্ববোধ থেকে করেছি দেশের মানুষ এর জন্য করেছি নিজের জন্য কাজ করিনি।যারা ঢোল পিঠা কিছু চাওয়া পাওয়ার জন্য ঢোল পিটায়।যখন কেউ সাহস করে বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলতে সাহস পায়নি তখন রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের অগ্নি কন্যা কবরী আপা সর্ব প্রথম বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জাতির সামনে তুলে ধরে।। ১৯৭৬ সালে গঠন করেন বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট জাতির তখন ছিল দুঃসময়। ২০২১সাল মৃত্যুর আগে পযন্ত এ সংগঠনের নেতৃত্ব দিয়েছেন দীর্ঘ ৪৪বছর।।তার অবদান আমরা যারা মনে প্রানে মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন করেছিলাম তারা কখনো ভুলবে না।
মুক্তিযুদ্ধে চিত্র নায়িকা কবরীর অবদানের কথা তুলে ধরলেন কন্ঠ শিল্পী রফিকুল আলম
May 16, 2021 , 6:44 pm