শরীয়তপুরে পূর্ব শত্রুতার জেরে দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে দাদন খলিফা (৩০) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে দাদন খলিফা পালং উপজেলার শৌলপাড়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের গয়ঘর গ্রামের সেকেন্দার খলিফার পুত্র।
পরিবারের সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনার জন্য দাদন খলিফা ২০১৪ সালে মালয়েশিয়া কর্মের জন্য পারি জমান। মধ্যপ্রাচ্যের দেশ মালয়েশিয়ায় দীর্ঘ ৬ বছর থাকার পর মা-বাবা এবং দেশের টানে গত ৩০ মার্চ বাংলাদেশে চলে আসে।
গতকাল ১৫ এপ্রিল রাত সাড়ে নয়টার দিকে তারাবির নামাজ শেষ করে দাদন খলিফা বাড়ি যাওয়ার পথে কয়েকজন স্থানীয় সন্ত্রাসী বাহিনী তাকে তুলে নিয়ে নদীর ধারে নির্জন স্থানে দেশীয় ধারালো অস্ত্র শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে মারাত্মক ভাবে জখম করে।
দাদন খলিফার চিৎকারের শব্দ শুনে স্থানীয় লোকজন রক্তাক্ত আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে।
সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত ডাক্তার তাৎক্ষণিকভাবে আহত দাদন খলিফাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়।
জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত ডাক্তার রোগীর অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত ঢাকা পাঠিয়ে দেয়
দাদন খলিফা কে কুপিয়ে আহত করার বিষয়টি পালং থানার ওসি ও নড়িয়া সার্কেল এসপি খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আসে।
জরুরী বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দাদন খলিফা নড়িয়া সার্কেল এসপি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান পালং ওসিকে বলেন আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়েছে ইদ্রিস খা, আবুল খা, রশিদ খলিফা, আজিজ খলিফা, শাজাহান খা, আজাহার খা, নাসির মাদবর, বাচ্চু মাদবর এই অপরাধীদের নাম বলে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।
দাদন খলিফার পিতা সেকেন্দার খলিফা বলেন, এসকান্দার সরদারদের সাথে আমাদের পুরানো শত্রুতা আছে কিন্তু আমরা তা ভুইলা গেছি, আমার ছেলে দাদন কিছুদিন হয় বিদেশ থেকে আসছে এসকন্দার সরদার চেয়ারম্যানি নির্বাচন করবো তাই তার সাথে আমার ছেলে থাকতে বলছিলো আমার ছেলে না কইরা দিছে, তাই এসকান্দার সরদারের নির্দেশে আমার ছেলেকে মাইরা ফালাইলো।
পালং থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আক্তার হোসেন বলেন, দাদন খলিফা মারা গেছে শুনেছি আহত অবস্থায় দাদন খলিফার বক্তব্য পেয়েছি। রাতেই মামলার হয়েছে এ জগন্যতম নির্মম কাজের সাথে যারা জড়িত রয়েছে তারা যতই শক্তিশালী হোক না কেন তাদেরকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।