রেজি: নং - আবেদিত ২০১৬খ্রিঃ, প্রতিষ্ঠাকাল: ১মার্চ ২০১৪                       বৃহস্পতিবার,  ১৬ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,  ২রা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,  রাত ২:২৩

শরীয়তপুরে স্ত্রী হত্যায় স্বামীর মৃত্যুদন্ড

October 13, 2021 , 7:11 pm

শরীয়তপুর জার্নাল ডেস্ক: শরীয়তপুরে স্ত্রী রেশমা আক্তারকে হত্যার দায়ে স্বামী নুরুল আমীন শেখকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন আদালত। আজ ১৩ অক্টোবর বুধবার বিকালে শরীয়তপুর নারী ও নিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আব্দুস সালাম খান নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩) এর ১১ (ক) ধারায় এই মামলার রায় দেন। একই সাথে আসামীকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে তা বাদীর পরিবার কে প্রদানের নির্দেশ দেন। ২০১৭ সালের ২ জুলাই শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার নাওডোবা ইউনিয়নের হারুন টুনিকান্দি গ্রামের গৃহবধূ রেশমা আক্তারকে হত্যা করা হয়েছিল। দন্ড প্রাপ্ত আসামী নুরুল আমীন শেখ রেশমা আক্তারকে হত্যার পর থেকে পলাতক রয়েছেন। শরীয়তপুর জজ কোর্টের পিপি এ্যাডভোকেট মির্জা হযরত আলী বলেন রেশমা আক্তারের (২২) মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার মুজাফফরপুর ঢালীকান্দি গ্রামের বাদশা হাওলাদারের মেয়ে এবং হত্যাকারী নুরুল আমীন শেখ (৩০) শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার হারুন টুনিকান্দি গ্রামের হাসেম শেখের ছেলে। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের জন্য নুরুল আমীন তার স্ত্রী রেশমাকে নির্যাতন করত। হত্যার কয়েকদিন আগে নুরুল আমিন একটি মাহিন্দ্র গাড়ি কেনার জন্য তাঁর স্ত্রী রেশমা আক্তার এর কাছে চার লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করে। রেশমার বাবা দরিদ্র পরিবারের হওয়ায় সে যৌতুকের টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এতে স্ত্রীর উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ২০১৭ সালের ২ জুলাই দিবাগত রাতে স্ত্রীকে বেদম প্রহার ও মারধর করেন। বেদম প্রহারের কারণে রেশমা আক্তার মারা যান। পরে তার স্বামী নুরুল আমিন ঘটনা ভিন্ন দিকে প্রবাহের জন্য রেশমার গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঘরের আরার (ঘরের খুঁটির) সাথে ঝুলিয়ে রাখেন আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার জন্য। এ ঘটনায় রেশমার ভাই ইয়ার হোসেন বাদী হয়ে ৩ জুলাই জাজিরা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় নুরুল আমীনকে আসামী করা হয়। তদন্ত শেষে পুলিশ অভিযোগপত্র দিলেও নুরুল আমীনকে আর গ্রেপ্তার করতে পারেনি। তার অনুপস্থিতিতেই মামলার বিচারিক কার্যক্রম চলতে থাকে। আজ বুধবার এই মামলার রায় দেন শরীয়তপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আব্দুস সালাম খান। আদালত নুরুল আমিনকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছেন। আসামী আত্মসমর্পন করে উচ্চ আদালতে আপিল করার সুযোগ পাবেন। মৃত রেশমা আক্তার ভাই ইয়ার হোসেন বলেন, এই মামলার রায়ে আমি এবং আমার পরিবার খুবই খুশি। আমার বোনের হত্যাকারীর নুরুল আমিন এখনো পলাতক রয়েছে। আদালতের কাছে একটাই দাবী, নুরুল আমিনকে যেন খুব দ্রুত গ্রেপ্তার করে যেন তার মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়।

Total View: 1313