শরীয়তপুর প্রতিনিধিঃশরীয়তপুর গোসাইরহাটের আলাওলপুর ইউনিয়নের পাজেল কান্দি গ্রামে মাছের খামার থেকে এই কুমিরটি উদ্ধার করা হয়০।১৪ নভেম্বর সোমবার সন্ধা ৬ টায় ঐ মাছের খামারের কর্মচারী পানির ভিতর থেকে ফাঁদ পেতে ধরে পরে কুমিরটিকে লোহার শিকল দিয়ে বেধে রাখে।
উৎসুক জনতার ভিড় করে দেখতে আসে দূর দুরান্ত থেকে নারী-পুরুষ স্কুল কলেজ মাদ্রাসার ছাত্র ছাত্রীরা।
এরপরে আজ দুপুরে গোসাইরহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাফি বীন কবির আলখলপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ওসমান বেপারীর উপস্থিতিতে জেলা বন বিভাগ কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন ও, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ডিরেক্টর মো. সানাউল্লাহ পাটোয়ারীর কাছে কুমিরটি হস্তান্তর করা হয়।
এসময় মাছের খামারের শ্রমিক সামাদ বলেন, কয়েকদিন যাবত এই কুমিরটি আমাদের ঘিরে ঢুকে রয়েছে এবং মাছ খেয়ে ফেলতেছে এমনটা অবস্থায় আমরা একটি ফাদঁ তৈরি করি এরপরে ঐ কুমিরটি ফাঁদের ভিতরে আটকে গেলেও আমরা প্রথমে ধরতে পারিনি লাফিয়ে পানিতে পরে যায় এরপরে আমরা পানিতে নেমে নিজেদের জীবন বাজি রেখে তিনজনে মিলে দড়ি দিয়ে বেধে আটকে ফেলি এরপরে শিকল ও মোটা কাছি দিয়ে বেধে রাখি।
পরে খামাোরের মালিককে বিষয়টি জানায় সে ও স্থানীয় চেয়ারম্যানকে জানালে চেয়ারম্যান ওসমান বেপারী উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করে।
গোসাইরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাফি বিন কবির বলেন, গতকাল রাতে আমি খবর পাই আলওলপুরে ঘিরে দৈর্ঘ্য প্রায় ৮ ফুট একটি কুমির ধরা হয়েছে এব্যাপারে রাতে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ডিরেক্টরের সঙ্গে কথা বলেছি। তাকে কুমিরের ছবি ও ভিডিও পাঠিয়েছি। তারা দেখে বলেছেন এটা নোনা পানির কুমির সেই সুবাদে আজ বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট বনবিভাগ পরিচালক ছানাউল্লা পাটোয়ারী ও তার পাচঁ সদস্যের টিম এসে উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের নিয়ে কুমিরটিকে হস্তান্তর করা হয়।
বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট বনবিভাগ পরিচালক ছানাউল্লা পাটোয়ারী বলেন, এখানে যে কুমিরটি ধরা হয়েছে সেটি লোনা পানির হয়তো বা লোনা পানির সন্ধানে এসে ঘিরে অবস্থান নিয়েছে, তাই এটিকে আমরা প্রথমে খুলনায় রেসকিউ সেন্টারে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা করা হবে এরপরে সুন্দরবনে কুমির আশ্রমে স্থায়ীভাবে রাখা হবে।