
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার মোক্তারের চর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের মৃধা কান্দী গ্রামে জমির বিরোধ নিয়ে মৃত করিম মুন্সীর ছোট ছেলে মতু মুন্সী (৩০) কে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
ঘটনার পর থেকে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ওই গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
বুধবার(২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০ টায় এই নিহতের নিজ বাড়িতে ঘটনাটি হয়।
নিহত মতু মুন্সির ভাই তাহের মুন্সী ও তার পরিবার জানায়,প্রায় এক মাস আগে নিহত মতু মুন্সীর ঘরের সাথে একই গ্রামের আবু মৃধা(৬৫)নতুন ঘর তুলেছে । ঘর তোলা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত মতু মুন্সী ও তার ভাই তাহের মুন্সীদের সাথে শত্রুতা চলে আসছিল আবু মৃধা ও তার ছেলেদের সাথে। সেই বিরোধের জেড়ে আজ বুধবার সকাল ১০ টার দিকে বাড়ির পার্শ্ববর্তী ফসলী জমিতে মতু মুন্সি গেলে সেখান থেকে ইকবাল মৃধারা ধাওয়া দিলে মতু মুন্সী দৌড়ে পালিয়ে তার মেজ ভাই বারেক মুন্সীর ঘরে ঢুকলে ইকবাল মৃধা(৩২), মোখলেস মৃধা(৩৮), বাদল মৃধা(২৭) আলি মৃধা(৩৭), ছোবহান ওরফে পাগলা মৃধা(৬০), সাজু মৃধা(৫৫) সবুজ মৃধারা চাইনিজ কুঠার, রাম দা, টেঁটা, চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে রেখে চলে যায় পরবর্তী শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এসময় দুর্বৃত্তরা নগদ টাকা, পাট, রসুন, গরু-বাছুরসহ অন্যান্য জিনিসপত্র নিয়ে বোমা মারতে মারতে পালিয়ে চলে যায়।
এসময় তাহের মুন্সী আরও বলেন, মোক্তারের চর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শাহ আলম চৌকিদার ও ৪ নং ওয়ার্ডের মেম্বার টিপু মৃধা, আবু মৃধা গংদের নেতৃত্ব দিয়ে আমার ভাই মতু মুন্সীকে হত্যা করিয়েছে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
এবিষয়ে জানার জন্য অভিযুক্ত আবু মৃধা, ইকবাল মৃধার বাড়িতে গেলে তাদেরকে পাওয়া যায়নি।
শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের আরএমও ডা. সুমন কুমার পোদ্দার বলেন, মারাত্মক আহত অবস্থায় মতি মুন্সি নামে এক যুবককে হাসপাতালে আনা হয়। চিকিৎসার জন্য তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভর্তির কিছুক্ষণ পরই তার মৃত্যু হয়। শরীরের একাধিক স্থানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর কারণে অনেক রক্তক্ষরণ হয়েছে। অতিরিক্ত রক্তখরণের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।
এবিষয়ে পুলিশ সুপার মো. সাইফুল হক বলেন, নড়িয়ার মোক্তারের চর ইউনিয়নের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত আমরা পাঁচজন গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। ঘটনাস্থলে পর্যাপ্ত পুলিশ রয়েছে। এঘটনায় এখনও মামলা হয়নি।