মঙ্গলবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে র্যাব-৮-এর ব্যবস্থাপনায় শরীয়তপুরের নড়িয়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ৪০ পরিবারকে গৃহ নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় টিন এবং ২’শত পরিবারের হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি র্যাব মহাপরিচালক বেনজির আহমেদসহ অনন্যরা। এর আগে নড়িয়া মুলফৎগঞ্জ ও বাঁশতালা ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন তিনি।
শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্দেশ্যে র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ বলেছেন, ছোটবেলা থেকে দেখেছি চাঁদপুর জেলার নদীভাঙন। কত মানুষ নদীভাঙনে নিঃস্ব হয়েছেন। ভিটেমাটি এবং স্বজন হারানোর ব্যাথা আমি বুঝি। এখনো নদীভাঙনের কথা শুনছি। তাই নড়িয়ায় নদীভাঙনে দুর্গতদের অবস্থা দেখতে এসেছি। ভাঙনকবলিত এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের সুখ-দুঃখের কথা শুনেছি।
তিনি বলেন, নদীভাঙনে শরীয়তপুরের ৫ হাজার ৮১টি পরিবার নিঃস্ব হয়েছেন। যারা ভাঙনে নিঃস্ব হয়েছেন তারা বিশ্বাস এবং আস্থা হারাবেন না। মন থেকে গরিবি অবস্থা বিদায় করতে হবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আছেন, তিনি আপনাদের সব দেবেন। পদ্মায় যা কিছু হারিয়েছেন তার চেয়ে বেশি পাবেন।
বেনজীর আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ২০২৪ সালের আগে মধ্যমআয়ের দেশ হবে বাংলাদেশ। কাজেই আস্থা হারাবেন না।
তিনি বলেন, নদীর তলদেশে পলি পড়ে ভরাট হয়ে যাচ্ছে। নদীগুলো ড্রেজিং করে সমুদ্রে ফেলতে পারলে আমরা আরেকটি বাংলাদেশ পাব। ইতোমধ্যে ‘ডেল্টা প্ল্যান-২১০০’ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে গঠন করা হচ্ছে ডেল্টা তহবিল। ১০০ বছরের এই ‘ডেল্টা প্ল্যান’ বাস্তবায়নে কাজ করছেন শেখ হাসিনা।
প্রত্যেক জাতীয় নির্বাচনের আগে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি হয়, আগামী নির্বাচনে এমন হওয়ার আশঙ্কা আছে কিনা- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে বেনজীর আহমেদ বলেন, ভীত হওয়ার কারণ নেই। আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য যে পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন র্যাবের পক্ষ থেকে সব পদক্ষেপ নেয়া হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান, র্যাবের অতিরিক্ত ডিআইজি আতিকা ইসলাম, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম, শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের, শরীয়তপুর পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন, র্যাব-৮-এর উপ-অধিনায়ক মেজর খান সজিবুল ইসলাম, শরীয়তপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আল মামুন শিকদার, মাদারীপুর র্যাব ক্যাম্পের কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তাজুল ইসলাম, ফরিদপুর র্যাব ক্যাম্পের কমান্ডার মো. রইছ উদ্দিন, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সোয়েব আহামেদ খান, নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা ইয়াসমিন, নড়িয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হাজী আব্দুল ওহাব বেপারী ও নড়িয়া পৌরসভার মেয়র শহিদুল ইসলাম বাবু রাড়ি প্রমুখ।