রেজি: নং - আবেদিত ২০১৬খ্রিঃ, প্রতিষ্ঠাকাল: ১মার্চ ২০১৪                       সোমবার,  ২০শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,  ৬ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,  রাত ১:২৪

শরীয়তপুরে এক শিক্ষানবীশ আইনজীবীকে আদালত প্রাঙ্গণে প্রবেশে নিষিধাজ্ঞা।

July 3, 2018 , 10:07 pm

শরীয়তপুর প্রতিনিধি ॥
শরীয়তপুরে মো.রাশেদ শিকদার নামে একজন শিক্ষানবীশ আইনজীবীকে আদালত ও আদালত প্রঙ্গণে প্রবেশে নিশেধাজ্ঞাজারী করেছেন শরীয়তপুর জেলা আইনজীবী সমিতির। সদর উপজেলার গঙ্গাধরপট্টি গ্রামের ওই শিক্ষানবীশ আইনজীবীর বিরুদ্ধে প্রতারণা মূলক বিবাহ ও ধর্ষণের অভিযোগ এনে জেলা আইনজীবী সমিতি বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে প্রাথমিক পর্যায়ে প্রমানিত হওয়ায় এই আদেশ দিয়েছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আবু সাঈদ। পহেলা জুলাই ২০১৮ ইং তারিখের স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে ওই নিশেধাজ্ঞা জারি হরা হয়।
নিশেধাজ্ঞা আদেশে ও ঘটনার শিকার ওই মেয়েটির কাছ থেকে জানাযায়, নড়িয়া উপজেলার দিনার গ্রামের মোকলেছ সিকদারের ছেলে রাশেদ শিকদার।সে শরীয়তপুর আদালতের শিক্ষানবীশ আইনজীবী হিসেবে নিজেকে পরিচয় দেয় । আইনি সহায়তা নিতে এসে আদালতে রাশেদ শিকদারের সাথে ওই মেয়েটির পরিচয় হয়। পরে প্রেমের ফাদে ফেলে ভূয়া কাবিন করে ৫লাখ টাকা দেন মোহরে শরাহ বিবাহের মাধ্যমে গেল জানুয়ারী মাসে মেয়েটিকে বিয়ে করে। এর পর থেকে শরীয়তপুর জেলা শহরের একটি ভারা বাসায় স্বামী-স্ত্রী হিসেবে এক সাথে বসবাস করে আসছিলেন তারা। হঠাৎ করে ঘটনার শিকার ওই মেয়েটির প্রশাসনিক কাজে কাবিন নামার প্রয়োজন হয়। গেল মে মাসে রাশেদ সিকদারের কাছে মেয়েটি তার কাবিনের কাগজ চায়। এই নিয়ে দুজনের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এক প্রর্যায়ে রাশেদ মেয়েটিকে পিটিয়ে আহত করে এবং স্ত্রী হিসেবে অস্বীকার করে। পরে জানাযায় রাশেদ কাবিনের নামে একটি ভূয়া রেজিষ্টার বহিতে মেয়েটিকে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়। এর পর থেকে রাশেদ তাকে স্ত্রী হিসেবে অস্বীকার করে। মেয়েটি তার অধিকার ফিরে পেতে রাশেদের পিছে ঘুরতে থাকে। সমাজের বিভিন্ন ধরনের অপবাদ উঠে মেয়েটির উপর। অপবাদ সইতে না পেরে প্রায় দের মাস আগে মেয়েটি আতœহত্যার চেষ্টা করে। স্থানীয়রা তাকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে এনে ভর্তি করে। প্রায় সাতদিন চিকিৎসাধিন থাকারপর মেয়েটি সুস্থ্য হয়। এর পর তাকে কাবিন রেজিষ্টার করে দেওয়া হবে বলে মেয়েটির সাথে আবারো মিসে কয়েক দিন এক সাথে বসবাস করে। এসময় স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা বলে ওই মেয়েটির কাছে জমানো থাকা প্রায় ৭লাখ টাকা নিয়ে জায় রাশেদ। কিন্তু তাকে কোন কাবিন রেজিষ্ট্রি করে না দিয়ে মেয়েটিকে রেখে আবারো পালিয়ে যায় রাশেদ। এর পর গেল ১৭ মে ২০১৮ তারিখে রাশেদের বিচার চেয়ে শরীয়তপুর জেলা আইজীবী সমিতির কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করে ঘটনার শিকার ওই মেয়েটি।
আজ মঙ্গলবার শরীয়তপুর আইনজীবি সমিতিতে উভয়ের সমুক্ষে বিষটি নিয়ে আইনজীবিদের স¤œয়ে শালিস বৈঠক হয়। সালিশি বৈঠকে প্রাথমিক ভাবে রাশেদের বিরোদ্ধে প্রতারনার অভিযোগ প্রমানিত হয়। পরে আইনজীবি সমতি সম্মিলিত সিধান্তে রাশেদকে আদালত প্রাঙ্গনে আসতে নিসেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
এডভোকেট আবু সাঈদ বলেন, “শিক্ষানবীশ আইনজীবী কর্তৃক বিবাহের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়। যাহা প্রাথমিক ভাবে প্রমানিত হয়েছে। এতে শরীয়তপুর জেলা আইনজীবীদের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়। পরবর্তীতে জেলা আইনজীবী সমিতির রেকর্ডপত্র পর্যালচনা করে জানা যায়, রাশেদ সিকদার শিক্ষানবীশ আইনজীবীর তালিকাভূক্ত না। সে কখনও শিক্ষানবীশ আইনজীবী আবার কখনও আইনজীবী পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন আদালতে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তাই রাশেদ সিকদারের বিরুদ্ধে জেলা আইনজীবী সমিতি এ সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছে। আদেশের কপি বাংলাদেশ বার কাউন্সিল ও অভিযোগকারীকে প্রেরণ করা হয়েছে। একই সাথে রাশেদের শররাহ বিবাহ করা স্ত্রীকে গ্রহন করতে রাজি না হওয়ায় তার ধার্যকরা দেন মোহর ও খোরকশ বাবদ ৫লক্ষ টাকা মেয়েটিকে দেওয়ার সিধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী দুই মাসের মধ্যে মেয়েটিকে রাশেদ ওই টাকা পরিশোধ করবে।

Total View: 2212