শরীয়তপুর চারমাত্রিক সাংস্কতিক চর্চার প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। শরীয়তপুর চারমাত্রিক সাংস্কতিক চর্চার আহবায়ক এড. মুরাদ মুন্সীর চেম্বারে গতকাল শনিবার বিকাল ৩ টায় এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সংগঠনের সচিব জনপ্রিয় টিভি উপস্থাপিকা ও অভিনেত্রী রওনক বিশাখা (শ্যামলী) সংগঠনের লÿ্য ও উদ্দেশ্য পাঠ করেন । (১) বিশুদ্ধ আঞ্চলিক ও বিশুদ্ধ প্রমিত বাংলা উচ্চারণ ও প্রয়োগ (জেলা থেকে গ্রাম পর্যন্ত) (২) মুক্তিযুদ্ধভিক্তিক শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চা এবং প্রয়োগ (জেলা থেকে গ্রাম পর্যন্ত) (৩) বটমূল কেন্দ্রিক সংস্কৃতি চর্চা ও ১লা বৈশাখী বা বৈসাবি উদযাপন (জেলা থেকে গ্রাম পর্যন্ত)। (৪) চলচ্চিত্র জ্ঞান ও সুস্থধারার চলচ্চিত্র প্রদর্শনী (জেলা থেকে গ্রাম পর্যন্ত)। এই চারটি মাত্রাকে সামনে রেখে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে চারমাত্রিক সাংস্কতিক চর্চা। বাংলাদেশের সকল জেলার মত শরীয়তপুরেও এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা খ্যাতিমান চলচিত্র নির্মাতা গাজী রাকায়েত।
সংগঠনের লÿ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে ১। বাংলাদেশের প্রত্যেকটি স্কুল কলেজের পাঠ্যসূচিতে সংস্কৃতি, বিশুদ্ধ আঞ্চলিক ভাষা ও বিশুদ্ধ প্রমিত বাংলা উচ্চারণ এবং প্রয়োগে অন্তর্ভূক্ত করতে হবে। প্রথম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পূর্ণ ১০০ নম্বরে প্রথম ভাগ, দ্বিতীয় ভাগ, তৃতীয় ভাগ -এভাবে ১২ টি ভাগে উক্ত বিষয়টি পাঠ্যধারায় যুক্ত করতে হবে। সেই সঙ্গে ৬৪ জেলার ৬৪ টি আঞ্চলিক ভাষার অভিধান রচনা করতে হবে। ২। প্রত্যেকটি উপজেলায় মুক্তিযুদ্ধ গবেষনা ও মুক্তিযুদ্ধ সং¯ৃ‹তি কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত করতে হবে যার মধ্যে থাকবে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, মহাফেজখানা, লাইব্রেরী এবং মিলনায়তন। এছাড়া প্রত্যেকটি গ্রামে মুক্তিযুদ্ধ ভাস্কর্য তৈরি করতে হবে। ৩। প্রত্যেকটি গ্রামে বটমূল কেন্দীক সাংস্কৃতিক চর্চা গড়ে তুলতে হবে এবং পহেলা বৈশাখ উদযাপন করতে হবে। কোন গ্রামে বটগাছ না থাকলে বটগাছ রোপন করতে হবে। ৪। প্রত্যেকটি উপজেলায় আধুনিক স্থাপত্যের আলোকে ৩/৪ টি হলের চলচ্চিত্র ভবন তৈরি করতে হবে। সেই ভবনটি ঘিরে চারদিকে বৃত্তকার একতলা বিশিষ্ট ঢাকার নিউমার্কেটের মত মার্কেট থাকবে। বৃত্তাকারের মার্কেটটি একতলার বেশি করা যাবেনা যাতে করে কেন্দ্রে অবস্থিত ভবনটি গৌণ না হয়ে যায়। স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রীদের স্কুল-কলেজের কর্তৃপÿের সহযোগিতায় প্রতিমাসে প্রেÿাগৃহে নিয়ে চলচ্চিত্র দেখানোর ব্যবস্থা করতে হবে। অনুদানের পাশাপাশি সরকারের প্রতি বছর ১২টি ( প্রতি মাসে যাতে একটি করে চলচ্চিত্র প্রদর্শীত হতে পারে) চলচ্চিত্র প্রযোজনা (ঢ়ৎড়ফঁপঃরড়হ) করতে হবে যার মালিকানা থাকবে সরকারের। চলচ্চিত্রগুলো অবশ্যই শিল্পমান সম্পন্ন হতে হবে। ব্যবসায়িক সফলতার ভিত্তিতে প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থান অধিকারী চলচ্চিত্রের নির্মাতাদেরকে পরের বছর আবার নির্মাণের সুযোগ দিতে হবে যাতে করে একটি ধারাবাহিকতা প্রতিযোগিতার মধ্যে দিয়ে সুস্থধারার চলচ্চিত্রের বাজার তৈরী হয়। উক্ত অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সংগঠনের শরীয়তপুর জেলার আহবায়ক এড.মুরাদ হোসেন মুন্সী সাহেব।
এছাড়া সভায় উপস্থিত ছিলেন মেহেদী মিজান (যুগ্ম আহবায়ক), ইমরান হোসাইন শাওন ( যুগ্ম সচিব), ডামুড্যা প্রতিনিধি রাজিব হোসেন রাজন, গোসাইর হাট প্রতিনিধি মোঃ বেলায়েত হোসেন, সদর প্রতিনিধি আনু মোহাম্মদ, ভেদেরঞ্জ প্রতিনিধি আনিছুর রহমান, জাজিরা প্রতিনিধি মোঃ রেজাউল করিম, নড়িয়া প্রতিনিধি শাহীদুল ইসলাম। আঃ মজিদ, সাইফুল ইসলাম সাইফ, মোঃ রিয়াজুল ইসলাম, শাহাদাত হোসেন প্রমূখ।