শরীয়তপুর সংবাদদাতা:-শরীয়তপুর সদর উপজেলার প্রেমতলা যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষন কেন্দ্রর পশ্চিম পাসের মন্ডল বাড়ির বিমল চন্দ্র মন্ডলের একমাত্র পুত্র গবিন্দ্র চন্দ্র মন্ডল কে(২ মাস)লবন খাইয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায় ৷
ঘটনা স্থলে গিয়ে জানতে পারি-শনিবার ২০ এপ্রিল সকাল ১০ ঘটিকার সময় দুই মাস বয়সি একমাত্র শিশুকে ঘরে ঘুমে রেখে গোসল করতে যায় শিশুটির মা দিপা রানি ,গোসল শেষে ঘরে ফিরে শিশুকে না পেয়ে চিৎকার দিয়ে শিশুকে খুজতে থাকে,চিৎকার শুনে আসে পাসের বাড়ির লোকজন খোজাখুজি শুরু করে,একপর্যায় বিমলের বড় বোন গিতা রানী মন্ডল শিশুটিকে ঘরের বারান্দার খাটের এক কোনে ওয়ালক্লথের মধ্যে পেচানো মুখে এবং নাকের মধ্যে লবন ঢুকানো অবস্থায় পেয়ে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত ডাক্তার শিশুটিকে মৃত্য বলে ঘোষনা করে ৷
এই বিষয়ে জানতে চাইলে বিমলের বোন গিতা বলেন- অামি অন্য বাড়িতে ভারা থাকি, হটাৎ প্রেমতলার কয়েকজন আমাকে বলে বিমলের ছেলেরে চুরি কইরা লইয়া গেছে,আমি সাথে সাথেই এই বাড়িতে অাসি এবং সবার সাথে খোজাখুজি শুরু করি ৷ অনেকখন খোজ করার পরে ঘরের বারান্দার খাটের নিচে ওয়ালক্লথ পেচানো বাচ্চাটারে দেখতে পেয়ে চিৎকার দিয়ে কুলে নিয়ে দেখি বাচ্চাটা লরে না ৷ এরপর হাসপাতালে নিলে ডাক্তার দেইখা বলে শিশুটি মারা গেছে ৷
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, শিশুটির মাথায়, নাকে ও মুখে লবণ মাখানো ছিল। সঙ্গে সঙ্গে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। কে বা কারা শিশুটিকে হত্যা করে চলে যায়। ওই সময় শিশুর দাদা লক্ষি নারায়ণ মন্ডল (৭০) ঘরের দরজায় বসে ছিলেন। তিনি চোখে কম দেখায় ঘাতকদের চিনতে পারেননি
বিমলের চাচাতো ভাই নিখিল মন্ডল বলেন-অামি প্রেমতলা ছিলাম হটাৎ কয়েকজন অামাকে বলে অামার ছোট ভাইর বাচ্চা নাকি চুরি হয়ে গেছে,অামি তখনঐ বাড়িতে অাসি এবং খোজ করি, হটাৎ গিতা(বিমলের বোন) চিৎকার দিয়ে বলে বাচ্চা পাইছি,অামি কাছে গিয়ে দেখি বাচ্চাটা মরা অবস্থায় খাটের কোনে ওয়ালক্লথ দিয়ে পেচানো মুখে ও শরিলে লবন ছিটানো অাছে ৷
বিমলের বাবা লক্ষি মন্ডল বলেন- অামি চোখে একটু কম দেখি,অামি ঘরের দরজার সামনেই বসা ছিলাম,অন্য কাউকে ঘরে অাসতে দেখি নাই, গিতার ছোট মাইয়ারে ঘরে দেখছি ৷
এ বিষয়ে পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, লক্ষি নারায়ণ মন্ডলের পরিবারকে দীর্ঘ সময় জিঙ্গাসাবাদের পর তাদের থানায় নিয়ে অাসি। শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে। পরীক্ষা করার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে কিভাবে শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে।