
সুপ্তা চৌধুরীঃ
ধর্ষকদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে শরীয়তপুরে মানববন্ধন করেছে জাতীয় মহিলা সংস্থা, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন, বেসরকারি সংস্থা এসডিএস, নুসা, সোডেপ ও এসডিও’র কর্মকর্তারা । বুধবার (১০ জুলাই) দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন করেন তারা।
এ সময় জাতীয় মহিলা সংস্থা শরীয়তপুর জেলা শাখার চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রওশন আরা বেগম, পিপি মির্জা হজরত আলী, অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ, সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সামিনা ইয়াসমিন, শরীয়তপুর অনলাইন জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট মুরাদ হোসেন মুন্সী, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন জেলা শাখার সভাপতি মাসুদুর রহমান মাসুদ প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গত ২৯ জুন রাতে জাজিরার একটি স্কুল এন্ড কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ করে জাজিরা পৌরসভার মেয়র ইউনুছ ব্যাপারীর ছেলে মাসুদ ব্যাপারী (৩১) । ভুক্তভোগি পরিবার মামলা দায়ের করলে ১ জুন আদালতের মাধ্যমে মাসুদ ব্যাপারীকে শরীয়তপুর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। ৭ জুন তার জামিনের আবেদন করা হয় শরীয়তপুর জেলা আমলি আদালতে। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। আমলি আদালতের বিচারক মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন জামিন ও রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করেন। আসামী পক্ষের আইনজীবি জয়নব আক্তার ইতি পরের দিন জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মিসআপিল করেন। তিনি ওই দিনই আরেক আবেদনে আসামীর জামিন প্রার্থনা করেন। জেলা ও দায়রা জজের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মরিয়ম মুন মঞ্জুরী জামিন মঞ্জুর করে আসামীকে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়ার আদেশ দেন। আমাদের প্রশ্ন হচ্ছে একজন মেয়েরের পুত্র ধর্ষন মামলার আসামী তার দৃষ্টান্তমূলক বিচার না হতেই জামিনে মুক্তি পায় কিভাবে? তাকে আবার আদালতের মাধ্যমে জেলা হাজতে পাঠানোর দাবি জানাই।
এছাড়া সম্প্রতি জাজিরা উপজেলার একটি স্কুল এন্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রীকে (১৬) গণধর্ষণ করেন শরীয়তপুরের আন্ত:জেলা পরিবহনের চারজন শ্রমিক ইসলাম, রাকিব, সবুজ ও ইকবাল । গোসাইরহাট উপজেলায় ইটভাটা শ্রমিক আজিজুল বেপারী ও তার সহকারী মাসুম বেপারী (২৭) মিলে ধর্ষণ করে তরুণী এক পোশাককর্মীকে। তাছাড়া সখিপুরে শশুর গিয়াস উদ্দিন ঢালী তার পুত্রবধূকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
এসব ধর্ষকদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা।