সুপ্তা চৌধুরীঃ “মুজিববর্ষের অঙ্গীকার, পুলিশ হবে জনতার” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে মঙ্গলবার (১০ মার্চ) বিকেল ৫টার দিকে ঢাকা বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা আয়োজনে জেলা পুলিশের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় শরীয়তপুর পুলিশ লাইন্সে বঙ্গবন্ধু ঢাকা বিভাগীয় কাবাডি প্রতিযোগিতা-২০২০ এর পুরস্কার বিতরনী ও সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এ.কে.এম এনামুল হক শামীম এমপি।
অনুষ্ঠানে শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহেরের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শরীয়তপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য মো. ইকবাল হোসেন অপু, পুলিশ সুপার এস. এম. আশরাফুজ্জামান, শরীয়তপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছাবেদুর রহমান খোকা শিকদার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, (নড়িয়া সার্কেল) এস. এম. মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) তানভীর হায়দার শাওন, সহকারী পুলিশ সুপার (ভেদরগঞ্জ সার্কেল) আমিনুল ইসলাম, সিনিয়র , সহকারী পুলিশ সুপার (শিক্ষানবিশ) ইমরুল, সহকারী পুলিশ সুপার (শিক্ষানবিশ) আদনান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক অনল কুমার দে, গোসাইরহাট উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ ফজলুর রহমান ঢালী, চৌধুরী ক্যাম টেক্সটাইল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান চৌধুরী ।
এ সময় জেলা বিশেষ শাখা ডিআইও-১ আজহারুল ইসলাম, জেলা গোয়েন্দা শাখার
অফিসার ইনচার্জ মোঃ কবিরুল ইসলাম, পালং মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ
মোঃ আসলাম উদ্দিন, নড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হাফিজুর রহমান, জাজিরা থানার অফিসার ইনচার্জ আজহারুল ইসলাম সরকার, ডামুড্যা থানার
অফিসার ইনচার্জ মোঃ মেহেদী হাসান, ভেদরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নজরুল ইসলাম, ডামুড্যা থানার অফিসার , অফিসার ইনচার্জ, গোসাইরহাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোল্লা সোহেব আলীসহ অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
উক্ত ফাইনাল খেলায় অংশগ্রহন করে সদর উপজেলা টিম বনাম ডামুড্যা উপজেলা টিম এবং ফাইনাল খেলায় জয় লাভ করে সদর উপজেলা টিম।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিবৃন্দদের জেলা পুলিশ, শরীয়তপুরের পক্ষ থেকে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
এ সময় উপস্থিত জেলা পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ, বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, রাজনৈতিক নেতাকর্মীবৃন্দ, আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ, জেলা ক্রীড়া সংস্থার নেতৃবৃন্দ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ ও অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় বক্তারা বলেন, খেলাধুলার মূল কথা হলো প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব সৃষ্টি করা। প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব তৈরী করে শৃঙ্খলাবোধ, অধ্যবসায়, দায়িত্ববোধ, কর্তব্যপরায়ণতা ও পেশাদারিত্ব। খেলাধুলার সঙ্গে স্বাস্থ্য ও মনের একটা নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। সুস্থ দেহ মানেই সুস্থ মন। খেলাধুলা জীবনকে করে সুন্দর, পরিশীলিত। তাছাড়া আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের পরিচিতি ও সম্মান বাড়ানোর ক্ষেত্রে খেলাধুলার ভূমিকা অতুলনীয়- বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
খেলাধুলা মানুষকে নিয়মকানুন ও শৃঙ্খলাবোধ শেখায়। নিয়মিত খেলাধুলার মাধ্যমে দেহ মন দুটাই সুস্থ রাখা যায়। বঙ্গবন্ধু যেমন খেলাধুলাকে ভালো বাসতেন। তেমনি ভালোবাসেন বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাই খেলাধুলার প্রতি প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ নজর রয়েছে।