শরীয়তপুর মনোহর বাজার ছাগলের হাট বসেছে ৭১ এর গণহত্যা’র স্মৃতিস্তম্ভে। এমন একটা পবিত্র স্থানে ছাগলের হাট বসিয়েছেন শরীয়তপুর সদর পৌরসভা।
এই ব্যাপারে কারও কোন মাথা ব্যথা নেই, শরীয়তপুর পৌরশহরের মনোহর বাজার মধ্যপাড়া শরীয়তপুর-চাঁদপুর মহাসড়কের পাশে এই স্মৃতিস্তম্ভ অবস্থিত।
মহাসড়কের পাশে গরু-ছাগলের হাট বসানোর বিধি-বিধান নেই। তা সত্ত্বেও আইনের তোয়াক্কা না করেই প্রতি সোমবার মহাসড়কের পাশে বছরের পর বছর চলছে এই গরু-ছাগলের হাট। এই হাটের ইজারাদার সোহরাব শিকদার।
সড়কের এক পাশে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ ও একটি কালী মন্দির সেই জায়গায় বসিয়েছে ছাগলের হাট।
সোমবার (৫ আগষ্ট) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে এই অঞ্চলের মুক্তিকামী মানুষের আত্মত্যাগ স্বাধীনতা ইতিহাসে এক স্মরণীয় ঘটনা। ৭১’এর ২২ মে পাক হানাদার বাহিনী তাদের দোসর স্থানীয় রাজাকারদের সহায়তায় এই অঞ্চলে সর্ব প্রথম নারকীয় হত্যাযজ্ঞ শুরু করে এবং এক দিনেই এই এলাকায় তিন শতাধিক স্বাধীনতাকামী মানুষকে হত্যা করে। সেই সাথে শতাধিক বাড়ি-ঘরে অগ্নি সংযোগ করে। এ পর্যন্ত মোট ৭৩ জন শহীদের নাম পাওয়া যায়। সেই নাম গুলো স্মৃতিস্তম্ভে লেখা রয়েছে।
অযত্ন আর অবহেলার কারণে শহীদের নাম গুলো মুছে যাচ্ছে।
নারকীয় গণহত্যার শিকার যারা হয়েছেন যারা তাদের নিয়ে অনেক আলোচনা থাকলে বাস্তবে কোন কার্যকরী পদক্ষেপ নেই।
বছরে একদিন থাকে এই শহীদদের নিয়ে ব্যাপক আয়োজন, বাকি সময় বসছে ছাগলের হাট।
এদিকে প্রতি সোমবার গরুর হাটের দিন মহাসড়কে যানজটে অতিষ্ঠ মানুষ। বিভিন্ন অবৈধ গাড়ি রাস্তার মাঝে পার্কিং করে গরু উঠা নামা করা হয় সড়কের উপরেই। আর ফুটপাত বলতে, তা শরীয়তপুরে নেই।
এ ব্যাপারে কথা বলতে গেলে গরু-ছাগলের হাটের ইজারাদার সোরহাব শিকদারকে পাওয়া না গেলেও সেখানে পাওয়া যায়, বর্তমান হাট পরিচালক মোঃ জাহাঙ্গীর মীরকে তিনি বলেন, হাট ইজারা দিয়েছে পৌরসভা আপনার কিছু জানার থাকলে তাদের
কাছে গিয়ে জানেন।
এবিষয়ে শরীয়তপুর সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.মাহবুর রহমান শেখ, এর আগেও হাটের ইজারাদারদের ডাকার কথা বললেও এখনো সেভাবেই এলোমেলো চলছে গরু ছাগলের হাট।