
শরীয়তপুর জেলা লিগ্যাল এইড অফিস কর্তৃক শরীয়তপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালত , নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল এবং চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বেঞ্চ সহকারী ও জিআরওগণের অংশগ্রহণে সরকারি খরচে আইনগত সহায়তা কার্যক্রম বিষয়ক এক সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে
২৫ জুন রবিবার এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শরীয়তপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালত ভবনের ২০৩ নং কক্ষে বিজ্ঞ সহকারী জজ মোঃ সালাউদ্দিন এর সঞ্চালনায় আয়োজিত উক্ত কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান বিজ্ঞ সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ জনাব শেখ মফিজুর রহমান ।
কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিজ্ঞ বিচারক স্বপন কুমার সরকার, বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ সালেহুজ্জামান।
উক্ত কর্মশালায় জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার ( সিনিয়র সহকারী জজ) জনাব মোঃ খালেদ মিয়া আইনগত সহায়তা প্রদান আইন ও বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি বিষয়ে একটি সংক্ষিপ্ত আলোচনা পেশ করেন।
কর্মশালায় বিজ্ঞ সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান বলেন, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীর দায়িত্ব হচ্ছে সকল সময়ে জনগণের সেবা করার চেষ্টা করা। দক্ষ কর্মচারী একটি দেশের সম্পদ। সরকারি খরচে আইনগত সহায়তা কার্যক্রমের সফল বাস্তবায়নের জন্য আদালতের সহযোগী কর্মচারীদেরও আইনগত সহায়তা কার্যক্রম বিষয়ে দক্ষতা আর্জন করতে হবে । দরিদ্র, অসহায় ও অস্বচ্ছল মানুষকে বিনা খরচে আইনগত সহায়তা প্রদানের জন্য আইনগত সহায়তা প্রদান আইন, ২০০০ প্রণয়ন করা হয়েছে। এই কার্যক্রম সম্পর্কে আদালতের কর্মচারীরা আবগত হয়ে তা বিচার প্রার্থী জনগণকে অবগত করতে পারলে তারা মামলা না করেই লিগ্যাল এইড অফিসের মধ্যস্থতায় তাদের বিরোধ আপোষে নিষ্পত্তি করতে উৎসাহিত হবেন। কারণ মধ্যস্থতা ন্যায়বিচারের নতুন দ্যোতনা হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে।রাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিকের ন্যায়বিচারে প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে হলে দরিদ্র- বান্ধব বিচার ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। তবেই দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে। এ ক্ষেত্রে আদালতের সহযোগী কর্মচারীদের বিশেষ করে বেঞ্চ সহকারী ও জিআরওগণকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।