শরীয়তপুর প্রতিনিধিঃ
সুপ্তা চৌধুরী।
শরীয়তপুরে একই দিনে দুই উপজেলায় দুই নারী সহ ০৪ ব্যাক্তির দেহে মরণঘাতি করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্ত ব্যক্তিরা হলেন- সদর উপজেলার চিতলীয়া ইউনিয়নের টুমচর গ্রামের (৪০) বছর ও (২২) বছরের দুই নারী এবং (৫০) বছরের এক পুরুষ, তারা একই পরিবারের ।
অপরজন জাজিরা উপজেলার মূলনা ইউনিয়নের বড় মূলনা গ্রামের (৪৫) বছর বয়সী।তিনি ঢাকার আজিমপুর থেকে সম্প্রতি শরীয়তপুর এসেছেন।
সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকার আজিমপুর থেকে ফেরা ওই চার ব্যক্তি শরীয়তপুর জেলার করোনাভাইরাসের রোগী।
ওই ব্যক্তিদের করোনা সংক্রমণের ঘোষণা দেয়া হলে, পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তাদের বাড়িসহ আশপাশের কয়েকটি বাড়ি লকডাউন করে দিয়েছে প্রশাসন।
সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল কর্মকর্তা (রোগ নিয়ন্ত্রণ) মো. আবদুর রশিদ বলেন, ওই চার ব্যক্তি গত ৯ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকার আজিমপুর থেকে বাড়ি এসে আত্মগোপন করেছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি তারা নারায়নগঞ্জ ও ঢাকার আজিমপুর থেকে এসেছে। পরে সন্দেহ হলে ১০ এপ্রিল তাদের বাড়িতে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। তারপর থেকে তারা হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন।
সোমবার বিকেলে সাড়ে ৪টার দিকে রিপোর্ট হাতে পেলে জানতে পানি তারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত।তবে তাদের দেহে এখনও কোনো উপসর্গ দেখা দেয় নি।
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাহাবুর রহমান শেখ বলেন, আক্রান্ত ব্যক্তিরা বাড়িতেই ছিলেন। সংক্রমণ নিশ্চিত হওয়ার পর আক্রান্ত ব্যক্তিদের বাড়িসহ বেশ কয়েকটি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।
জাজিরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আক্রান্ত ব্যক্তির এলাকা বড় মূলনা গ্রামটিকে লকডাউন করা হয়েছে। গ্রামটিতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। যাতে করে কোন ব্যক্তি ঘর থেকে বের হতে না পারে এবং গ্রামটিতে কেউ প্রবেশ করতে না পারে।
উল্লেখ্য, গত ৪ এপ্রিল শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ৯০ বছরের এক বৃদ্ধ প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। এ ঘটনায় নড়িয়া উপজেলার ৩৪ পরিবারের ১৮৯ জনকে লকডাউন করে স্থানীয় প্রশাসন।
পাশাপাশি উপজেলার হাটবাজার লকডাউন করা হয়। জেলায় করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়ায় ব্যাপক সংক্রমণের আশঙ্কা করছে প্রশাসন।
এ নিয়ে শরীয়তপুরে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ০৫ জন।