শরীয়তপুর প্রতিনিধিঃ
সুপ্তা চৌধুরী।
শরীয়তপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপ-সহকারী পরিচালক শেখ মাহাবুর রহমান। উপ-সহকারী পরিচালকের সুষ্ঠু ও দক্ষ তদারকিতে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসটি এখন দালাল মুক্ত হয়েছে। পাসপোর্ট অফিসে নতুন পাসপোর্ট তৈরি করা, পাসপোর্টের নবায়ন, পাসপোর্ট সংশোধনে সরকারি ফি ছাড়া অতিরিক্ত কোন টাকা প্রয়োজন হয় না।
অল্পদিনে শরীয়তপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপ-সহকারী পরিচালক শেখ মাহাবুর রহমান বেশ সুনাম অর্জন করেছেন।
ডামুড্যা পৌরসভার দক্ষিণ ডামুড্যা গ্রাম থেকে পাসপোর্ট করতে আসা আব্দুস ছালাম সিকদার বলেন, (৯ মার্চ) সোমবার এসে দেখতে পেলাম উপসহকারী পরিচালকের বেশ আন্তরিকতা। আমি সম্পন্ন হয়রানি মুক্ত পরিবেশে আমি পাসপোর্ট আবেদন পত্র জমা করি। কর্মকর্তার আন্তরিক ব্যবহারে আমি মুগ্ধ। সরাসরি শরীয়তপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপ-সহকারী পরিচালকের রুমে গিয়ে আমাদের কাজ সম্পূর্ণ করতে পেরেছি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পাসপোর্ট অফিস এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয়টি সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। এই সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে দালালদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হচ্ছে। এছাড়া আইন শৃংঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মাঝে মধ্যেই পাসপোর্ট অফিসের সামনে অভিযান পরিচালনা করছেন। যার কারণে দালালরা ঝামেলামুক্ত থাকার জন্য পাসপোর্ট অফিসে এখন প্রবেশ করছেনা। দেখা যায়, উপ-সহকারী পরিচালকের কক্ষে আবেদন করতে সহজে প্রবেশ করছেন জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে পাসপোর্ট করতে আসা লোকজন। পরিচালক তাদের সমস্যার কথা আন্তরিকভাবে শুনে সমাধানের চেষ্টা করছেন
এ ব্যাপারে শরীয়তপুর আঞ্চলিক পাসপের্ট অফিসের উপ-সহকারী পরিচালক শেখ মাহাবুর রহমানের সাথে আলাপ কালে তিনি বলেন, পাসপোর্ট করতে কোনো অতিরিক্ত টাকা লাগে না। সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসাবে শরীয়তপুরের পাসপোর্ট অফিসটি ইতোমধ্যে প্রচুর সুনাম অর্জন করেছে। আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি আমার অফিস চত্বরে এখন কোন দালালের আনাগোনা নেই।
তবে কেউ যদি আমাদের অফিসে আশার আগে তৃতীয় কোন ব্যাক্তিকে টাকা দিয়ে সাহায্য নেয় এবং তা স্বীকার না করে সেক্ষেত্রে আমাদের কিছু করার থাকে না। আমার অফিসের স্টাফের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ থাকলে তা প্রমাণসহ আমাকে দেখানোর অনুরোধ জানাচ্ছি।
শরীয়তপুরবাসীর প্রতি অনুরোধ রইলো, ফরম পূরণের কথা বলে কেউ যদি অতিরিক্ত টাকা চায়, টাকা দেবেন না। প্রয়োজনে আমাদের অফিসে এসে ফরম পূরনের সহয়তা কিংবা ওয়েবসাইটে ঢুকে ফরম পূরণ করবেন। আপনারা সচেতন হলেই দালালরা দালালি করতে পারবে না এবং আপনাদের অতিরিক্ত টাকা অপচয় হবে না।