আনন্দ আয়োজনের মধ্যদিয়ে কেক কাটার মাধ্যমে শরীয়তপুর জেলার ৩৪ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও আলোচনা সভা অনিষ্ঠত হয়েছে।
১মার্চ বৃহস্পতিবার বিকেল ৫ টায় শরীয়তপুরজার্নাল কার্যালয়ে শরীয়তপুর সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের আয়োজনে এ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করা হয়।
শরীয়তপুর সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সভাপতি শ্যামসুন্দর দেবনাথ এর সভাপতিত্বে আলোচনায় সভায় বক্তব্য রাখেন, শরীয়তপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও পিপি মির্জা হযরত অালী, আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও উদিচির জেলা সভাপতি এড. আবুল কালাম আজাদ,সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজন শরিয়তপুর জেলা সভাপতি আহসান উল্লাহ ইসমাইলি,বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন শরীয়তপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান মাসুদ,
শরীয়তপুর সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সাধারন সম্পাদক ও প্রতিষ্ঠাতা এড. মুরাদ হোসেন মুন্সীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন,এড.রাকিবুল হক রোমান,এড. পিন্টু লাল সাহা, নিরাপদ সড়ক চাই শরীয়তপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সমির চন্দ্র শীল, সহ সভাপতি এনামুল হক সোহেল মুন্সী, হাসান মাসুউদ খান,সহ সাধারণ সম্পাদক সোহাগ খান সুজন,দুর্ঘটনা ও অনুসন্ধান বিষয়ক সম্পাদক আনিসুর রহমান, ক্রীড়া সাংস্কৃতিক সম্পাদক মহসিন রেজা,যুব সম্পাদক রায়হান মাহমুদ সুজন, সদস্য জিল্লুর রহমান খান,মাহবুবুর রহমান খান,ফজলুর রহমান খান, মোঃ রফিকুল ইসলাম,মোঃ সালাম, বাদল চন্দ্র দে, মাহবুব, মোঃ আজমুল মোল্লা,মোশাররফ খান প্রমুখ।
উপস্থিত বক্তারা প্রয়াত রথীন্দ্র কান্ত ঘটক চৌধুরী, অ্যাডভোকেট আলহাজ্ব সুলতান হোসেন মিয়া, সরদার একেএম নাসির উদ্দিন কালু, প্রয়াত অ্যাডভোকেট রাজ্জাক সিকদারসহ যারা শরীয়তপুর জেলা প্রতিষ্ঠায় আপ্রান চেষ্টা করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
পরে জেলার বিভিন্ন খ্যাতনামা ব্যক্তিবর্গ ও জেলার বিভিন্ন ইতিহাস নিয়ে আলোচনা করেন বক্তারা।
শরীয়তপুর সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সাধারন সম্পাদক অ্যাভোকেট মুরাদ হোসেন মুন্সী জানান, শরীয়তপুর জেলা প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী আর কেউ কখনও পালন করেননি। আমরা গত চার বছর যাবত এ জেলার প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করে আসছি। আগামিতে জেলার সকল শ্রেণির লোকজনদের নিয়ে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।
জানা যায়,প্রশাসনিক সুবিধার্থে মাদারীপুরের বৃহৎ পূর্বাঞ্চল নিয়ে একটি পৃথক মহকুমা গঠনের প্রয়াস ১৯১২ সাল হতেই নেয়া হয়েছিল। এর পরে পাকিস্তান সৃষ্টির বাংলাদেশের অভ্যুদয় নতুন প্রশাসনিক দৃষ্টি ভঙ্গি গঠন করতে সহায়তা করে। স্বাধীনতার পর ১৯৭৬ সালে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় মাদারীপুরের পূর্বাঞ্চল নিয়ে একটি নতুন মহকুমা গঠিত হবে। বিষয় নির্বাচনী কমিটির সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে বিশিষ্ট সমাজ সংস্কারক, বৃটিশ বিরোধী তথা ফরায়েজী আন্দোলনের নেতা হাজী শরীয়ত উল্লাহর নামানুসারে এর নাম করণ হয় শরীয়তপুর এবং এর সদর দপ্তরের জন্য পালং থানা অঞ্চলকে বেছে নেয়া হয়। ১৯৭৭ সালের ১০ ই আগষ্ট রেডিওতে সরকার কর্তৃক মহকুমা গঠনের ঘোষণা দেয়া হয় এবং ঐ বছরের ৩রা নভেম্বর এ মহকুমার আনুষ্ঠানিক শুভ উদ্বোধন করেন তৎকালীন উপদেষ্টা জনাব আবদুল মোমেন খান। প্রথম মহকুমা প্রশাসক ছিলেন জনাব আমিনুর রহমান। এর পর রাষ্ট্রপতি হুসেইন মোঃ এরশাদ সরকারের প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাসের ফলে শরীয়তপুর মহকুমাকে জেলায় রূপান্তর করা হয়। ৭ই মার্চ ১৯৮৩ সালে জেলা গঠনের ঘোষণা হয়। ১৯৮৪ সালের ১লা মার্চ শরীয়তপুর জেলার শুভ উদ্বোধন করেন তৎকালীন তথ্য মন্ত্রী জনাব নাজিম উদ্দিন হাশিম। বর্তমান শরীয়তপুর বাংলাদেশের একটি ঐতিহ্যবাহী জেলা