রেজি: নং - আবেদিত ২০১৬খ্রিঃ, প্রতিষ্ঠাকাল: ১মার্চ ২০১৪                       সোমবার,  ২রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,  ১৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,  দুপুর ২:২৯

শরীয়তপুর মাদক ব্যবসায়ীর গুলীবিদ্ধ লাশ উদ্ধার।

July 9, 2018 , 11:46 pm

শরীয়তপুরে এক মাদক ব্যবসায়ী নিখোজ হওয়ার ৪দিন পর শরীয়তপুর- মাদারীপুর মহাসড়কের পাশে থেকে লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরিবারের দাবী ডিবি পুলিশ ধরে নিয়ে ক্রসফায়ার দিয়ে হত্যা করেছে। পুলিশ বলছে তারা আটক করেনি, ক্রসফায়ার দেয়নি। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

নিহতের চাচা সেলিম সিকদার ও পালং মডেল থানা সূত্র জানায়, শরীয়তপুর সদর উপজেলার খেলসী বিলাসখান গ্রামের সিরাজ সিকদারের ছেলে মাদক ব্যবসায়ী কালু সিকদারকে ৬ জুলাই শুক্রবার বাদ মাগরিব সাদা পোষাকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে কতিপয় অপরিচিত লোক খেলসী গ্রামের খোকন শাহ’র বাড়ির নিকট থেকে ধরে নিয়ে যায়। এরপর তার কোন সন্ধান মিলেনি। এ সময়  সাদা পোষাকধারী লোকের সঙ্গে পালং বাজারের ব্যবসায়ী কুদ্দুস মোড়লের ছেলে আওলাদ মোড়ল সঙ্গে ছিল বলে নিহত পরিবারের দাবী করছে। পুলিশ ,র‌্যাব ও ডিবি কেউ কালুকে আটকের কথা স্বীকার করেনি। পরিবারের পক্ষ থেকে দাবী করছে কালুকে ধরে নেয়ার পর শনিবার কাউন্সিলর সিদ্দিক চোকদার ও মেম্বার বোরহান পালং মডেল থানায় সাধারন ডাইরী করতে গেলে পালং মডেল থানার ওসি(তদন্ত)মোঃ হুমায়ুন কবীর ডাইরী নিতে অস্বীকার করে। কালুকে ধরে নেয়ার পর থেকেই পালং বাজারের কাপড় ব্যবসায়ী রাসেদ সরদার নিহত কালুর বোন কাকলী ও মা শান্তা বেগমের কাছে কালুকে ছেড়ে দেয়ার কথা বলে ৫০ হাজার টাকা দাবী করে। সোমবার ভোরে শরীয়তপুর সদর উপজেলার কাশিপুর বটতলা নামক স্থানে শরীয়তপুর-মাদারীপুর মহাসড়কের পাশে থেকে কালুর গুলীবিদ্ধ লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পালং মডেল থানায় খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নেয়ার পর কালু’র লাশ বলে পরিবার সনাক্ত করে।পরিবারের দাবী কালুকে ডিবি পুলিশ ধরে নিয়ে ক্রস ফায়ার দিয়ে হত্যা করেছে। পুলিশের দাবী কেবা কারা তাকে ডিবি পরিচয়ে ধরে নিয়ে হত্যা করেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কালু সিকদারের নামে একাধিক মাদক ও অস্ত্র মামলা রয়েছে।  পুলিশ ধারনা করছে মাদক ব্যবসার দ্বন্দের জের ধরে কালু সিকদার প্রতিপক্ষের হাতে খুন হতে পারে। এ ঘটনায় পালং মডেল থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

নিহত কালু সিকদারের ভগ্নিপতি সুরুজ সিকদার বলেন, শুক্রবার বাদ মাগরিব সাদা পোষাকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে কতিপয় অপরিচিত লোক কালুকে খেলসী গ্রামের খোকন শাহ’র বাড়ির নিকট থেকে ধরে নিয়ে যায়। এ সময়  সাদা পোষাকধারী লোকের সঙ্গে পালং বাজারের ব্যবসায়ী কুদ্দুস মোড়লের ছেলে আওলাদ মোড়ল সঙ্গে ছিল । এরপর তার কোন সন্ধান মিলেনি।আমরা পালং মডেল থানায় সাধারন ডাইরী করতে গেলে ওসি (তদন্ত) হুমায়ুন কবীর ডাইরী করতে রাজি হয়নি। কালুকে ধরে নেয়ার পর পালং বাজারের কাপড় ব্যবসায়ী চাদসার গ্রামের রাসেদ সরদার নিহতের মা ও বোনের কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবী করে।

নিহতের মা শান্তা বেগম বলেন, আমার ছেলে কে ধরে নেয়ার পর চাঁদসার গ্রামের রাসেদ সরদার আমার কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবী করে। টাকা দিলে সে আমার ছেলেকে ছাড়িয়ে দেয়ার আশ্বাস দেয়। আমি আমার ছেলের  হত্যাকারীর বিচার চাই।

রাসেদ সরদারের মুঠো ফোনে বার বার চেষ্টা করে ও তাকে পাওয়া যায়নি।

Total View: 2226