শরীয়তপুর প্রতিনিধিঃ
সুপ্তা চৌধুরী।
শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় জোরপূর্বক জমি দখল করে ঘর উত্তোলনে বাঁধা দেয়ায় ৩ জনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে বিপক্ষ দলের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার ভোজেশ্বর ইউনিয়নের উপসী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বুধবার (২৫ মার্চ) দুপুরে নড়িয়া থানায় একটি অভিযোগ করা হয়েছে।
আহতরা হলেন- উপসী গ্রামের কালু সরদারের মেয়ে মনি বেগম (৩৫), পারভীন বেগম (৩০) ও স্ত্রী রিনা বেগম (৬৫)। আহত ২ জনকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানায়, নড়িয়া উপজেলার ভোজেশ্বর ইউনিয়নের উপসী গ্রামের হামিদ ছৈয়ালের সঙ্গে একই গ্রামের কালু সরদারের ৮ বছর যাবত উপাসী মৌজার ৫১ শতাংশ জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। তারই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে বিপক্ষ দলের হামিদ ছৈয়ালের (৫০) নেতৃত্বে তার ছেলে সবুজ ছৈয়াল (৩০), মনির হোসেন ছৈয়াল (২৫), মেয়ের জামাই সোহেল শিকদার (৩০), পুত্রা খোকন শিকদার (২৫) সহ ২৫/৩০ জন মিলে জোরপূর্বক সেই জমি দখল করে ঘর উত্তোলন ও টিনের বেড়া দেয়। তখন কালু সরদারের পরিবারের লোকজন বাঁধা দিলে মনি, পারভীন ও রিনাকে দেশীয় অস্ত্রদিয়ে কুপিয়ে এবং পিটিয়ে জখম করে। স্থানীয়রা মনি ও পারভীনকে গুরুতর আহত অবস্থায় শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে এবং আহত রিনাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় কালু সরদারের পক্ষ থেকে নড়িয়া থানায় একটি অভিযোগ করা হয়েছে।
কালু সরদারের মেয়ে আহত পারভীন বেগম বলেন, ৫১ শতাংশ জমি নিয়ে আমার বাবার সঙ্গে হামিদ ছৈয়ালদের দ্বন্দ চলছে অনেকদিন যাবত। জমিগুলো আমার বাবার। কিন্তু মঙ্গলবার রাত আড়াইটার দিকে হামিদ ছৈয়ালের নেতৃত্বে ২৫/৩০ জন লোক জোরপূর্বক আমাদের ৩০ শতাংশ জমি দখল করে টিন দিয়ে ঘর তুলছিল ও বেড়া দিচ্ছিল। তখন আমরা গিয়ে বলি, আমাদের যায়গায় ঘর তুলছেন কেন? বলার সঙ্গে সঙ্গে সেন দা, চাইনিজ কুড়াল, লোহার রড ও বাশের লাঠি নিয়ে আমাদের উপর হামলা চালায় হামিদ ছৈয়াল ও তার লোকেরা। হামলা চালিয়ে আমার বড় বোন মনিকে কুপিয়ে বাঁ হাত জখমসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে জখম করে। অার মাকে ও আমাকে পিটিয়ে আহত করে। পরে আমাদের ঘর কুপিয়ে লুটপাট করে স্বর্ণ ও নগদ টাকা নিয়ে যায় ওরা। পুলিশের কাছে অভিযোগ করলেও তারা কোন ব্যবস্থা নেননি এবং আসেননি। আমরা এ হামালার বিচার চাই। জমি ফিরে পেতে চাই।
এদিকে, হামিদ ছৈয়ালের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলে তাকে পাওয়া যায়নি।
নড়িয়া থানা পুলিশের ভরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান বলেন, ওই ঘটনায় এক পক্ষ থানায় একটি অভিযোগ করেছে। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ তদন্ত করছে । তদন্ত শেষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।