শরীয়তপুর প্রতিনিধিঃ
সুপ্তা চৌধুরী
ধর্ম যার যার, উৎসব সবার এই প্রতিপাদ্য কে সামনে রেখে শারদীয় দূর্গা উৎসব-২০১৯ উপলক্ষে পালং-জাজিরার সকল হিন্দু সম্প্রদায়ের সাথে শুভেচ্ছা ও মতবিনিময় সভা করেন শরীয়তপুর ১ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ইকবাল হোসেন অপু। শনিবার (০৫ই অক্টোবর) সকাল ১১ টায় শরীয়তপুর সদরের চৌরঙ্গীতে অবস্থিত সংসদ সদস্য’র ব্যাক্তিগত কার্যালয়ে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ শরীয়তপুর জেলা শাখার সভাপতি বাবু মুকুল চন্দ্র রায়ের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক বাবু মানিক ব্যানার্জী’র সঞ্চালনায় উক্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ শরীয়তপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক বাবু অনল কুমার দে, শরীয়তপুর জেলা কেন্দ্রীয় মন্দিরের সভাপতি বিমল কৃষ্ণ অধিকারী, শরীয়তপুর জেলা আওয়ামীলী যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর মৃর্ধা, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ফারুক তালুকদার, সদর পৌরসভার প্যানেল মেয়র মোঃ বাচ্চু বেপারী, সদর পৌরসভার কাউন্সিল সঞ্জিব কুমার নাগ, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খিষ্ট্রান ঐক্য পরিষদ শরীয়তপুর জেলা শাখার আহবায়ক শংকর প্রসাদ চৌধুরী, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ শরীয়তপুর জেলা শাখার সাবেক সভাপতি সুশীল দেবনাথ, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সহ-সভাপতি মন্মথ কুমার দাস, অনিক ঘটক চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সত্যজিৎ ঘোষ, সদর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সমীর কিশোর দে, সাধারন সম্পাদক গোবিন্দ দত্ত, জাজিরা উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি স্বপন মন্ডল, সাধারণ সম্পাদক অরুন কুমার রায়, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ শরীয়তপুর সদর উপজেলা শাখার সভাপতি রঘুনাথ পোদ্দার, সাধারণ সম্পাদক কমল কৃষ্ণ শীল, মহাদেব বাড়ি জিউ মন্দিরের সাধারন সম্পাদক হেমন্ত দাস, বাংলাদেশ ছাত্র যুব ঐক্য পরিষদ শরীয়তপুর জেলা শাখার আহবায়ক সমীর চন্দ্র শীল, যুগ্ম আহবায়ক রুপক চক্রবর্তী, যুগ্ম আহবায়ক সুপ্তা চৌধুরী সহ শরীয়তপুর সদর ও জাজিরা উপজেলার সকল দূর্গা পূজা মন্দির কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সহ প্রমুখ।
সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপু বলেন, আমাদের মাঝে কোন ভাগ নাই। এই হিন্দু মুসলমান বিভাজন টা আমরা নিজেরা তৈরি করি। মানব জাতির শুরুটা এক জায়গা থেকেই হয়েছে। আমরা একে অপরের আত্মীয়। আমাদের মাঝে যেই বিভাজন তা আমরা আমাদের স্বার্থের জন্যই হয়েছে। আমাদের সকলের রক্তই লাল তাহলে কিসের বিভাজন। সনাতন ধর্মের সৃষ্টি বহু বছর আগে যা আদি ধর্ম। মা দূর্গা যুগে যুগে এসেছে অসুরদের দমন করার জন্য, মানব জাতির শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য। আমার কাছে হিন্দু মুসলমান বলতে কোন বিভাজন নেই আমার কাছে “সবাই মানুষ। কবির ভাষায় একটা কথা আছে সবার উপরে মানুষ সত্য তার উপরে নাই”।আপনাদের ভালবাসায় আমি ধন্য। আপনাদের ভালবাসার ঋন আমি কোন দিন শোধ করতে পারবো না। আমি সদা সর্বদা আপনাদের পাশে আছি। আপনারা আমাকে কখনো এমপি মনে করবেন না কারন আমি আপনাদের ভাই আপনাদের সন্তান। আমার বাবা ছিলেন একজন অসাম্প্রদায়িক মানুষ ছিলেন যার কারনে আমি জন্মসূত্রেই আমি অসাম্প্রদায়িক মানুষ।এসময়,তিনি তাঁর পারিবারিক অনেক স্মৃতিচারণ করেন।
তিনি বলেন,এ দেশ কিন্তু একলা কেউ স্বাধীন করে নি। বঙ্গবন্ধু নেতৃত্বে এ দেশের হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ সহ সকল ধর্মের মানুষ মিলে এ দেশ স্বাধীন করেছে। যার কারনে এ দেশে একজন মুসলমানের যতটা অধিকার হিন্দুদেরও ঠিক ততটাই অধিকার।আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও একজন অসাম্প্রদায়িক ব্যাক্তিত্ব।তাঁর কাছ থেকে আপনাদের কিছু চেয়ে নিতে হবে না।তিনিও দূর্গা মায়ের মতই শান্তি প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে কাজ করে চলেছেন।তিনি আপনাদের সবই দিচ্ছেন এবং দিবেন।
তিনি আরো বলেন, আমি জীবিত থাকা অবস্থায় এ শহরের কোন হিন্দুর উপর কেউ আঘাত করতে পারবে না।আপনাদের জন্য আমার দরজা সবসময় খোলা। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন আমি যেন সৎ থাকতে পারি, আপনাদের পাশে থাকতে পারি।
এ সময় সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপু তার ব্যাক্তিগত তহবিল হতে আসন্ন শারদীয় দূর্গা পূজা উপলক্ষে সদর ও জাজিরা ৩৩টি পূজা কমিটি কে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।