দুর্যোগ আসবে দুর্যোগ চলে যাবে। কিন্তু প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলার মানুষের পাশে আছেন। শেখ হাসিনা থাকতে বাংলাদেশের মানুষ কেউ না খেয়ে মরবে না বললেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া ।
মন্ত্রী বলেন, গত চার মাসে বাংলাদেশে বন্যা, পাহাড় ধষ, নদী ভাঙ্গনসহ বহু দুর্যোগ এসেছে । এই দুর্যোগে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদেরকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ত্রাণ, চিকিৎসার জন্য ঔষদ, বিশুদ্ধ খাবার পানি, বাসস্থানসহ যা প্রয়োজনীয় সব কিছু দিয়েছেন। আমাদের খাদ্য, ত্রাণের অভাব নেই। যার যা সহযোগীতা দরকার তা আমরা দেব। যাদের খাবার দরকার খাবার দেব, যাদের ঘর দরকার ঘর দেব। কোন কিছু দেওয়া বাদ যাবে না।
মন্ত্রী আরো বলেন, রিলিপ নিয়ে কেউ দুর্ণীতি করবেন না। তাকে ছাড় দেয়া হবে না।
তিনি বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধিনাস্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ঈদের ছুটি বন্ধ রেখে বন্যা ও ভাঙ্গন কবলিতদের পাশে থাকবেন ।
২৮ আগষ্ট সোমবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলার জাজিরা উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে শরীয়তপুর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে পদ্মা নদী ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্ত এবং পানিবন্দী দুঃস্ত পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণের সময় এসব কথাগুলো বলেন তিনি।
এ সময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহ্ কামাল, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক এমপি, একেএম এনামুল হক শামীম, শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) মাহবুবা আক্তার, পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল মামুন, জাজিরা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোবারক আলী সিকদার, নড়িয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান একেএম ইসমাইল হক, সিভিল সার্জন ডা. নির্মল চন্দ্র দাস, জাজিরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাহেলা রহমাতুল্লা, পিপি মির্জা হজরত আলী, জাজিরা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা স্বপন মাতব্বর প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, জাজিরা উপজেলার জাজিরা ও কুন্ডেরচর ইউনিয়নে পদ্মায় নদীর ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্ত এবং পানিবন্দী ৫০০ টি পরিবারের মাঝে প্রতি পরিবারকে ২০ কেজি করে চাল ও প্রতি পরিবারকে ১ হাজার করে নগদ টাকা দেয় হয়।