এটিএন বাংলার শরীয়তপুর প্রতিনিধি শরীয়তপুর ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রোকনুজ্জামান পারভেজের ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে ও অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন শরীয়তপুর প্রেসক্লাব। এতে অংশ নেয় জেলার সকল কর্মরত সকল সাংবাদিকবৃন্দ। আজ সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়।
এ সময় বক্তব্য রাখেন- শরীয়তপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি অনল কুমার দে, সহ-সভাপতি শেখ খলিলুর রহমান, শরীয়তপুর ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন সাধারণ সম্পাদক শহিদুজ্জামজন খান, সহ-সভাপতি মাহবুবুর রহমান, প্রথম আলোর প্রতিনিধি সত্যজিৎ ঘোষ, ডিবিসির প্রতিনিধি বি এম ইস্রাফিল, যমুনা টিভি প্রতিনিধি কাজী মনির, শরীয়তপুর অনলাইন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট মুরাদ হোসেন মুন্সি, সাধারণ সম্পাদক মো. ছগির সিকদার, বাংলা ট্রিবিউনের প্রতিনিধি ও শরীয়তপুর অনলাইন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি রাজিব হোসেন রাজন, শরীয়তপুর মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি ফারুক মোল্লা প্রমুখ।
কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, সাংবাদিক রোকনুজ্জামান পারভেজের ওপর সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সেই সঙ্গে হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার করে শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
পরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ সুপার এস এম আশরাফুজ্জামান সেখানে আসেন। তিনিও কিছু সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে কর্মসূচিতে অবস্থান করেন। পরে দ্রুত আসামিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দিলে সাংবাদিক নেতারা ওই কর্মসূচি মুলতবি করেন।
তবে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আসামিদের গ্রেফতার করা না হলে নতুন কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন সাংবাদিকরা।
প্রসঙ্গত, সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রোকনুজ্জামান পারভেজ তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বসে ছিলেন। হঠাৎ দোকানের সামনে শরীয়তপুর পৌরসভার উত্তর পালং গ্রামের আবুল কাশেম মিয়ার ছেলে নাজমুল মাদবর ও নাঈম মাদবরের নেতৃত্বে ২০/২৫ জন লোক এসে এক নারীকে রড, লাঠি দিয়ে মারধর করছিলেন। আত্নরক্ষার্থে সাংবাদিক পারভেজের দোকানে ঢুকে পড়েন ওই নারী। তখন সন্ত্রাসীদের দোকান থেকে বের হতে বলেন তিনি। সন্ত্রাসীরা ‘ভিডিও করছস কেন’ বলে পারভেজকে কিল-ঘুষি মারে ও রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। খবর পেয়ে পালং মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত অবস্থায় পারভেজকে উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় আহত রোকনুজ্জামান পারভেজ নিজেই বাদী হয়ে নাজমুলকে প্রধান আসামি করে চার জনের নাম উল্লেখ করে ও আরও ১০-১২ জন অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
অবস্থান কর্মসূচীতে শরীয়তপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি অনল কুমার দে বলেন, রোকনুজ্জামান পারভেজের ওপর হামলা ও মারধরের ঘটনায় আমরা শঙ্কিত। পুলিশ এখনও কেন আসামিদের গ্রেফতার করছে না তা রহস্যজনক। পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আক্তার হোসেন বলেন, আহত অবস্থায় রোকনুজ্জামান পারভেজকে পুলিশই উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। অবস্থান কর্মসূচীতে যোগ দিয়ে পুলিশ সুপার এসএম আশরাফুজ্জামান বলেন, যেকোনো ভাবেই হোক আসামীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে। এবং তাৎক্ষণিক তিনি পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকতার হোসেনকে আসামীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন। শরীয়তপুর।