স্টাফ রিপোর্টারঃ শরীয়তপুর জেলা শহরে অবস্থিত ভাষা সৈনিক ডাঃ গোলাম মাওলা গণগ্রন্হগার সংলগ্ন কড়ই তলা, কোর্ট মোড়,ট্রাফিক বক্স নামে জানে শরীয়তপুরের মানুষ। এতো দিনে কেউ কখনো এ জায়গাটার নাম লিখিত বা ফলক তৈরী করে নাম করন করেনি , স্বাভাবিক ভাবেই যুগের পর যুগ শরীয়তপুর শহরের এই কোর্ট এরিয়ার গুরুত্বপূর্ন জায়গাটি বিভিন্ন নামে রুপ নিয়ে চলে আসছে বর্তমানে এ জায়গাটিতে বছর দুই আগে ট্রাফিক সার্জনের বসার অফিস হিসেবে ব্যাবহারের জন্য একটি ট্রাফিক বক্স করা হয় একারনে ট্রাফিক বক্স নামেই জেনে আসছিলো হঠাৎ করেই শরীয়তপুর পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের তুলাসারের এই এলাকাটিতে টানানো একটি সাইন বোর্ডে সাইবিতা চত্বর লেখা ও ইট সিমেন্টের স্থায়ী গাঁথুনি তৈরী করতে দেখে এলাকার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের নজর কাড়ে এবং সেই নাম করন নিয়ে জেলায় ছড়িয়ে পড়ে সাইবিতা চত্বর কি এর আলোচনা।
শরীয়তপুর পৌরসভার মেয়র জেলার কোনো শ্রেনী পেশার কারোরর সাথে আলোচনা না করেই, নাম ফলক তৈরী করায় চাপা ক্ষোভের মধ্যে থেকে “সাইবিতা” নামে নাম করণের প্রতিবাদে আজ বেরিয়ে আসে মানববন্ধন।
শরীয়তপুর সচেতন নাগরিক সমাজের উদ্যেগে ৫মার্চ সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টায় মানববন্ধন আয়োজনে যোগ দেন জেলায় কর্মরত সাংবাদিক, আইনজীবী, কবি, সাহিত্যিক, নাট্যকর্মী এবং সুশীল সমাজের গণ্যমান্য ব্যাক্তিরা। তাদের দাবী এখানে সাইবিতা নয়,এখানে ভাষা সৈনিক অতুল প্রসাদ সেন, কবি রথীন্দ্র কান্ত ঘটক চৌধুরী, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ডাঃ আবুল কাশেম, সাহিত্যিক আবু ইছাহাকের মতো অনেক গুণী ব্যাক্তিরা রয়েছেন, তাদের নামানুসারে এ চত্ত্বরের নাম করণ করা যেতে পারে।
এছাড়া বক্তারা তাদের বক্তব্যে বক্তারা বলেন, এই সাইবিতা চত্বর নাম কে দিলো কোথা থেকে এলো তা কেউ জানেনা। এ জেলায় অনেক গুনীজন রয়েছেন তাদের নামে নাম করন করা হোক, বক্তারা আরো জানায় এই নাম করনের সাইন বোর্ড দ্রুত অপসারন না কী হলে সামনে কঠিন পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এব্যাপারে মেয়র মোঃ রফিকুল ইসলাম কোতোয়ালের মুঠো ফোনে কথা বলার চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায়নি।