করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে ৪ মাস পর দেশের নিম্ন আদালতে আবার স্বাভাবিক বিচারকাজ শুরু হতে যাচ্ছে। কোরবানির ঈদের ছুটি শেষে আগামী ৫ অগাস্ট বুধবার থেকে স্বাভাবিক বিচার কাজ চলবে বলে বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারকদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রধান বিচারপতি এ সিদ্ধান্ত দিয়েছেন।
তবে মহামারীকালে আদালত প্রাঙ্গণ ও এজলাস কক্ষের সুরক্ষা সংক্রান্ত হাই কোর্ট বিভাগের দেওয়া নির্দেশনা প্রতিপালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধ, আদালত প্রাঙ্গণ ও এজলাস কক্ষে সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য ১৪টি নির্দেশনা দিয়ে আরেকটি বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়।
দেশে নতুন করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর সরকার গত ২৬ মার্চ থেকে সারা দেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে।
তার সঙ্গে মিল রেখে সর্বোচ্চ আদালতসহ দেশের সব আদালতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সুপ্রিম কোর্ট। সরকারের সাধারণ ছুটির সঙ্গে আদালতের সাধারণ ছুটিও কয়েক দফা বাড়ানো হয়।
এক মাসের বেশি সময় বিচারকাজ বন্ধ থাকার পর ‘ভার্চুয়াল আদালতে’ শুনানির জন্য গত ৯ মে সরকার ‘আদালত কর্তৃক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার’ অধ্যাদেশ জারি করে।
পরদিন সর্বোচ্চ আদালতের উভয় বিভাগের বিচারপতিদের নিয়ে ভিডিও কনফারেন্সে ‘ফুলকোর্ট’ সভা করেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।
ফুলকোর্ট সভার পর ওইদিনই অধস্তন আদালতে ভার্চুয়াল জামিন শুনানির নির্দেশ আসে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন থেকে। তার জন্য তিনটি বিশেষ প্র্যাকটিস নির্দেশনাও জারি করে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
এপ্রসঙ্গে শরীয়তপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সাধারন সম্পাদক এড.মুরাদ হোসেন মুন্সী বলেন, এই সিদ্ধান্তের ফলে বিচার প্রার্থী মানুষের জন্য একটি সুখবর। কারন আদালত বন্ধ থাকায় মানুষের কোন সমস্যা হলে বিচার চাওয়ার জায়গাটি বন্ধ থাকায় অনেক ক্ষতি হয়েছে। তাছড়া আইনজীবীরাও কর্মহীন ছিল। এই সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাই। তবে এতোদিন ভার্চুয়ালকোর্ট খোলা থাকলেও সকল মামলার বিচারিক কার্যক্রম করা সম্ভব হয় নাই তাতে করে সবাই ক্ষতির সমুক্ষনে পরতে হয়েছিল, এখন কোর্ট খোলাতে জনগন যেমন খুশী আমরা আইনজীবীরাও অনেক খুশী হয়েছি।