শরীয়তপুর প্রতিনিধিঃশরীয়তপুরে থানা এসে নিজে স্ত্রীকে হত্যা খবর দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় আটক হয় স্বামী আরিফ মুন্সী (৪০)। পালং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকতার হোসেন তথ্য টি নিশ্চিত করেন।
আরিফ মুন্সী (৪০) ফরিদপুর জেলার সদরপুরের মৃত চান মিয়া ছেলে। তার শরীয়তপুর বাসস্ট্যান্ডে পুরাতন টায়ার মেরামত করার একটি দোকান আছে। তার স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা মৌ (২৮)।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে আরিফের সাথে রাজিয়া সুলতানা পারিবারিক কলহর হয়ে আসছে। আরিফ নেশা গ্রস্ত ছিলেন। মাঝেমধ্যে আরিফ তার স্ত্রীকে যৌতুকের জন্য এবং রাজিয়া পরকীয়া করে এমন কথা বলে তাকে মারধর করে। এই বিষয় নিয়ে বেশ কয়েকবার স্থানীয় ভাবে দরবার সালিশ হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) রাতে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। ঝগড়ার পড় তারা ঘুমিয়ে পড়ে। বুধবার (২৮ জুলাই) ভোর রাতের যে কোন সময় আরিফ তার স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা কে ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে হত্যা করে। পরে সেই খবর নিজে থানায় দিয়ে বাড়ি যাওয়ার পর তাকে বাড়ি থেকে আটক করে থানা পুলিশ।
রাজিয়া সুলতানা মৌর স্বজনরা বলেন, আরিফ নেশাগ্রস্ত। মাঝেমধ্যে টাকার জন্য রাজিয়াকে মারধর করে। যৌতুকের টাকার জন্য অনেক চাপ দেয়। এই বিষয় নিয়ে বেশ কয়েকবার দেন দরবারও হয়েছে। কিন্তু এতে কোন ধরনের সমাধান করা সম্ভব হয় নি। সমাধান হয় নি বলে আজ মরতে হল রাজিয়াকে।
পালং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকতার হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে রাজিয়া ও তার স্বামী আরিফের সাথে পরিবারিক কলহ চলছিল। গত রাতে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। ভোর রাতের কোন একসময় আরিফ রাজিয়াকে ইটের আঘাতে হত্যা করে। পরে আরিফ নিজে এসে থানায় খবর দেন যে বাস্টেন্ড সংলগ্ন একটি বাসা কোন খুন হয়েছে। বলে সে চলে যায়। তাৎক্ষণিক পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় যাওয়ার পর সেখানে আরিফ কে দেখতে পায় এবং সে হত্যা করেছে বলে শিকার যায়। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।