
শরীয়তপুরের সখিপুরে সৌদি প্রবাসী এক নারীকে পিটিয়ে ও যৌনাঙ্গে লাঠি ঢুকিয়ে নির্যাতনের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুক্রবার বিকালে নির্যাতনের শিকার ওই নারীর পিতা সখিপুর থানায় ঘটনার পরের দিনের অভিযোগের সাথে অারেকটি অভিযোগ সংযুক্ত করে এ মামলাটি দায়ের করেন। এ ঘটনায় শরীয়তপুরে ব্যাপক অালোচনা-সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে। ক্ষোভ প্রকাশ করেছে নারী উন্নয়ন কর্মীরা ও সৌদি প্রবাসী বাংলাদেশি।
এদিকে, ওই নারীর পরিবারকে মামলা তুলে নিতে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিচ্ছে অভিযোগ অাসামী পক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে। এনিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে নির্যাতিতা পরিবারটি। নির্যাতনের পরে থেকে ওই সৌদি প্রবাসী নারীকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
স্থানীয় ও মামলা এজাহার সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ দিন যাবৎ সৌদি অারবে থাকেন নির্যাতিতা নারীদের তিন বোন। ২৮ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার তিন বোনের মধ্যে বড় বোন সৌদি অারব থেকে ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে অাসেন। এরপর থেকে পূর্বের জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে রোববার রাতে ওই নারীর বসত ঘরে ঢুকে প্রতিবেশি নায়িম সরদারের ছেলে মনির সরদার, নজরুল সরদারের ছেলে বুলু সরদার ও তার স্ত্রী মনি বেগমসহ ৭/৮জন এলোপাতারি মারপিট করে। এ সময় বুলু সরদারের স্ত্রী মনি বেগম ওই প্রবাসী নারীর যৌনাঙ্গে লাঠি দিয়ে অাঘাত করতে থাকলে ওই নারী জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। একপর্যায়ে ওই প্রবাসী নারীর যৌনাঙ্গে রক্তক্ষরন শুরু হলে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে পরিবারের সদস্যরা। বর্তামানে চিকিৎসাধীন রয়েছে সে।
সৌদি অারব প্রবাসী ওই নারী জানান, বিদেশ থেকে এসে বাড়ির সবাইর সাথে বসে গল্প করছিলাম। এ সময় মনির সরদার, রুলু সরদার ও তার স্ত্রী এসে অামার নামে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে মারপিট শুরু করে। একপর্যায়ে তারা অামার যৌনাঙ্গে একটা লাঠির দিয়ে অাঘাত করে। পরে কি হয়েছে তা কিছুই জানি না সে। এ ঘটনায় যারা তার জীবনটা নষ্ট করে দিছে তাদের বিচার চায় ওই নারী।
মামলার বাদী নির্যাতিতা ওই নারীর পিতা জানান, মেয়েকে নির্যাতনকারীদের বিচার চেয়ে মামলা করেছি। মামলা তুলে নিতে এখন অাসামী পক্ষের হুমকি দিচ্ছে। এ কারনে নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছে পরিবারটি।
এ বিষয়ে অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগ করা হলেও কেউকে পাওয়া যায়নি। তাদের বাড়ি গিয়েও করো খোজ মেলেনি। ঘটনার পর থেকেই সবাই পলাতক রয়েছে।
শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের অাবাসিক মেডিকেল অফিসার শেখ মোস্তফা খোকন বলেন, হাসপাতালে ভর্তির পর থেকেই, অামরা ওই নারীকে চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছি। এখন কিছুটা সুস্থ হয়ে উঠেছে। তবে ওই নারীর উন্নত চিকিৎসা নেয়া প্রয়োজন।
সখিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একে.এম মঞ্জুলুর হক অাকন্দ জানান, ঘটনার পরে একটি অভিযোগ করেছে ওই নারীর বাবা। শুক্রবার অাবার ওই নারীর সাথে ঘটনার বর্ননা মিলিয়ে অারেকটি অভিযোগ সংযুক্ত করা হয়েছে। অাসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানায় ওসি।